ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জে চাদা তুলে ব্রিজ নির্মাণের স্বপ্ন পুরণ হয়নি গ্রামবাসীর। এলাকায় সরকারি বরাদ্দে একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে এমনটাই স্বপ্ন দেখছিলেন সাধারণ মানুষ। ব্রিজ নির্মাণে বরাদ্দও হয়ে ছিল কিন্তু ভাগ্য তাদের অনূকূলে ছিল না। সেতুর স্থান পরিবর্তন করে নির্মাণ করা হয়েছে প্রায় আধা কিলোমিটার দক্ষিণে। ঘটনাটি ঘটেছে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মাইজবাগ ইউপির দত্তগ্রামে। জানা যায়, দত্তগ্রামের ভেতর দিয়ে প্রবাহমান বাঘজুড়ি খালের ওপর ২০১৬ সালে ২৮ লাখ টাকা বরাদ্দে একটি ব্রিজ নির্মাণের প্রকল্প আসে। প্রথমে সেটি হওয়ার কথা ছিল একই গ্রামের ফকির বাড়ির সংলগ্ন।
পরবর্তীতে গ্রামবাসীর দাবির মুখে প্রশাসন ও জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে সেটি নির্মাণ করা হয় একই গ্রামের অন্তত আধা কিলোমিটার দক্ষিণে মারফত আলীর বাড়ি সংলগ্ন। এলাকায় সরকারি বরাদ্দে একটি ব্রিজ নির্মাণ হবে এমনটাই স্বপ্ন দেখছিলেন সাধারণ মানুষ। ঘটনাটি নিয়ে ফকির বাড়ির এলাকা সংলগ্ন বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হয়। তারা নিজেরাই চাঁদা তুলে সেতু নির্মাণের পরিকল্পনা করে। তখনকার সময়ে স্থানীয় ইউপি নির্বাচনের তোড়জোড় চলছিল। সেই সুবাদে ব্রিজ নির্মাণের জন্য ফকির বাড়ির আ. গফুর, আ. বারেক, ইসলাম উদ্দিন, খোকন মিয়ার নেতৃত্বে এলাকায় এক লাখ টাকার মতো চাঁদা তুলে তখনকার চেয়ারম্যান প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজের কাছে জমা দেন বলে তারা দাবি করেন।
স্থানীয় বাসিন্দা ফারুক মিয়া জানান, আনোয়ার পারভেজ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে ব্রিজের নিচের ভিত্তিসহ ছয়টি পিলার স্থাপন করেন। এরপর ছাদ ঢালাই দেন। এরপর থেকে এভাবেই পড়ে আছে ব্রিজটি। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আনোয়ার পারভেজ বলেন, টাকা দেয়ার বিষয়ে আমি অবগত নই। বিভিন্ন বরাদ্দ থেকে দুই দফায় ছাদ ঢালাই পর্যন্ত কাজ করতে পেরেছি। অর্থ বরাদ্দ সাপেক্ষ খুব দ্রুতই বাকি কাজ করতে পারব বলে আশাবাদী। ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. জাকির হোসেন জানান, খোঁজ-খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।