ইউপি চেয়ারম্যানের ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নওগাঁয় ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদানের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন

ব্যতিক্রমী

মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, সুমন চেয়ারম্যান হবে জনতার” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে নওগাঁর মান্দায় বিভিন্ন ভাতাভোগীদের ভাতা প্রদান, নুতন করে হিসাব নম্বর খোলার সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন। উপজেলার ভারশোঁ ইউ’পির চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমন এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। সরেজমিন দেখা যায়, উপজেলার দেলুয়াবাড়ী মাধ্যমিক মহানগর মাঠের এক পাশে জ্বলছে ছয়টি চুলা। সেখানে বড় বড় হাঁড়িতে চলছে রান্না।

১৪মণ চালের ভাত ও ১৪মণ আলু দিয়ে আলু ঘাটি তরকারি রান্নার আয়োজন চলছে। আয়াজকদের হিসাব অনুযায়ী, ‘বিশাল মাঠ জুড়ে করা প্যান্ডেলে এক সঙ্গে দুই হাজার মানুষের খেতে পারবেন। সাড়ে তিন থেকে চার হাজার মানুষকে খাওয়ানো হবে।’ মাঠের আরেক পাশে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওয়তায় উপকারভোগী বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের মোবাইলে সরকারি ভাতা পৌঁছে দেওয়ার জন্য টেবিল-চেয়ার পেতে বসে থাকা কয়েকজন যুবক সুবিধাভোগীদের ব্যবহৃত সিমে মোবাইল ব্যাংকিং নগদ হিসাব খুলে দিচ্ছেন।

মাঠের অপর পাশে করা স্টেজ থেকে মাইকের মাধ্যমে ভারশোঁ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান সুমনের উন্নয়ন কর্মকান্ড তুলে ধরে তাকে আসন্ন নির্বাচনে আবারও নির্বাচিত করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছেন তার কর্মী-সমর্থকেরা। মঙ্গলবার (৯মার্চ) দুপুরে ভারশোঁ ইউনিয়নের ৭,৮,৯ ওয়ার্ডের বিভিন্ন গ্রাম থেকে আসা প্রায় চার হাজার মানুষ সমেবত হয়েছিলেন দেলুয়াবাড়ী মাধ্যমিক মহানগর মাঠে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওয়তায় সরকারি ভাতাভোগীদের মোবাইলে নগদ হিসাব খুলে দেওয়া ও ভাতার টাকা বিতরণের জন্য তাঁদেরকে সেখানে ডেকে নেন চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান। এসময় প্রত্যেক ভাতাভোগীদের তিন মাসের ভাতা নগদ প্রদান ও মধ্যাহ্নভোজ করানো হয়।

একই ভাবে গত রবিবার ১,২,৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং সোমবার ৪,৫,৬ নম্বর ওয়ার্ডের সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওয়তায় উপকারভোগী বয়স্ক, বিধবা ও প্রতিবন্ধীদের ডাকা হয়। ভারশোঁ ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, সারা দেশেই চলছে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে নানা আয়োজন ও অনুষ্ঠান। তারই ধারাবাহিকতায় আমি এমন ব্যতিক্রমী উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষদের হয়রানী না হতে, সহজেই ভাতা গ্রহণের জন্য এমন উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অনেক বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী মানুষরা অনেক কষ্ট করে এখানে আসবে আর কাজ শেষ করে পেটে ক্ষুধা নিয়ে ফিরে যাবেন তা হতে পারে না।

তাই আমি এই সুযোগে এই মানুষদের একবেলা পেটপুরে খাবারের ব্যবস্থা করেছি মাত্র। তিনি আরো বলেন গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে রাজনীতিতে অনেকটা নতুন হওয়া সত্ত্বেও এলাকার মানুষ নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আমাকে বিজয়ী করেছিলেন। এই মেয়াদে আমার চেয়ারম্যান পদের পাঁচ বছর শেষ হতে চলেছে। ভাতাভোগীদের নগদ হিসাব খুলে দেওয়া ও মুজিব বর্ষ উপলক্ষে শেষ বেলায় আমার প্রতি এলাকার মানুষের ভালোবাসার প্রতিদান দিতে মানুষকে এক বেলা খাওয়ানোর আয়োজন করেছি। বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ছাড়াও ১০ টাকা কেজি দরে চাল, ভিজিডি ও মাতৃত্বকালীন ভাতাভোগীদেরও এই অনুষ্ঠানে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে। আগামীতেও আমার এই ধরনের কর্মকান্ড অব্যাহত থাকবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *