ইউপি চেয়ার‌্যমানের বিরুদ্ধে সুপারি চোরাচালানের মামলা

 পিরোজপুরের নেছারাবাদ উপজেলায় অবৈধপথে ভারতে দুই কোটি চৌষট্টি লক্ষ চুরানব্বই হাজার টাকার সুপারি পাচারকালে দু’টি ট্রলারসহ তিন জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ সময় ট্রলারে থাকা চোরাচালানের জড়িত মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালি ইউনিয়নের শাহজাহান হাওলাদারসহ কয়েকজন পালিয়ে যায়।

শাহজাহান হাওলাদার তুষখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান। বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় নেছারাবাদ থানায় চোরাচালনের অভিযোগে ইউপি চেয়ারম্যান শাহজাহান হাওলাদার সহ গ্রেপ্তাকৃতদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান নেছারাবাদ থানার ওসি মো: গোলাম সরোয়ার। গ্রেপ্তারকৃতরা আসামীরা হলো জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার তুষখালী এলাকার সেকেন্দার মাঝির পুত্র মো: হারুন মাঝি(৬০) একই এলাকার মৃত আব্দুল খালেক হাওলাদারে পুত্র অলি হাওলাদার(২৮) এবং মো: ফয়েজ হকের পুত্র নূর নবী মাঝি(৩২)।

এছাড়া ঘটনার সাথে জড়িত পলাত আসামী মঠবাড়িয়া উপজেলার ১নং তুষখালি ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান মোঃ শাহ জাহান হাওলাদার (৬০) একই এলাকার তুষখালী এলাকার মো: হোসেন আলী হাওলাদারের পুত্র। নেছারাবাদ থানার অফিসার ইন চার্জ (ওসি) মো: গোলাম সরোয়ার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার রাতে সন্ধ্যা নদীর বিনয়েকপুর এলাকার নদীতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে দুটি মাছ ধরার ট্রলারে অভিযান চালিয়ে দেড় কোটি টাকা মূল্যের সুপারীসহ প্রায় ৩ কোটি টাকার মালামাল উদ্ধার করে হয় এবং সন্দেহভাজন হিসেবে তিনজনকে আটক করা হলেও ট্রলার থেকে ট্রলারের মালিক মঠবাড়ীয়া উপজেলার ১নং তুষখালি ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শাহ জাহান হওলাদার সহ ১০/১২ জন পালিয়ে যায়।

আটককৃত ট্রলার সহ সুপারিগুলো মঠবাড়ীয়া উপজেলার তুষখালি ইউপি চেয়ারম্যানের শাহজাহান হওলাদার । তিনি হলেন পাচারকারির মুল হোতা। আটককৃতদের একজন পাচারকারি অপর একজনের বিরুদ্ধে মাদকের মামলার আসামী। মুলত তারা সবাই পাচারকারি। ইতোপূর্বে তাদের বিরুদ্ধে পাচারের মামলা হয়েছিল। তারা দু’টি ট্রলার ভর্তি সুপারি ভারতে পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হয়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *