এ যেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য নতুন এক ইতিহাস। আফ্রিকার মাটিতে বহু ম্যাচ খেলেছে টাইগাররা, কিন্তু অশ্রুসিক্ত হতে হয়েছে প্রতিটি ম্যাচের ফলাফলে।

দীর্ঘ ২০ বছরের আক্ষেপ।কতশত আক্ষেপ একটি জয়ের জন্য।আক্ষেপের পাল্লাটা আরো ভারী হতে পারতো

আর হতে দেয়নি সাকিব-তামিমরা।

সমস্ত আক্ষেপ কাটিয়ে আফ্রিকার মাটিতে আফ্রিকাকেই বধ করলো বাংলার টাইগাররা।

এ যেন এক রোমাঞ্চিত জয় এ যেন এক নতুন ইতিহাস।

মানসিক অবসাদের মধ্য দিয়েও যে বিশ্বজয় করা যায় তা আরেকবার প্রমান করলেন বাংলার ক্রিকেটের নবাব সাকিব আল হাসান।

তাসকিন-মিরাজের দূর্দান্ত আগ্নিঝরা বোলিং।

সব মিলিয়ে এ যেন এক স্বপ্নপুরীর গল্প।

তামিম-লিটনের ব্যাটে উড়ন্ত শুরু টাইগারদের। পাওয়ার প্লেতে পাওয়ারহীন থাকলেও, পরে বাড়িয়েছেন রানের গতি। ছন্দে ফেরার তাড়না প্রবল তামিমের, ওয়ানডে অধিনায়ক ৪১ কোরে ফিরলে ভাঙে ৯৫ রানের জুটি।

ইনফর্ম লিটন আফ্রিকার মাটিতেও সচল। নজরকাড়া ব্যাটিংয়ে ফিফটি করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান।

এরপরই শুরু হয়  সাকিবের ব্যাটিং ঝলক। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের মাস্টার ক্লাস ব্যাটিংয়ে উচ্ছ্বসিত লাল-সবুজ ভক্তরা। রাব্বিকে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে দলকে দেখান বড় সংগ্রহের পথ।

৫০ বলে হাফসেঞ্চুরি করা সাকিব, ৭৭ রানে থামার আগে, রাব্বির সাথে ১১৫ রানের জুটি গড়েন, যা রেকর্ড। প্রথম ফিফটির পরেই আউট রাব্বি।

শেষদিকে রিয়াদের ২৫, আফিফের ১৭ আর মিরাজের ১৯ রানের বিনিময়ে ৩১৫ রানের লক্ষ ছুড়ে দেয় টিম টাইগার্স।

৩১৫ রানের লক্ষে ব্যাট করতে নেমে তাসকিন-শরিফুলদের পেস তাণ্ডবে নড়বড়ে প্রোটিয়া টপ অর্ডার। শরিফুলের শিকার  মালান। পরে তাসকিনের জোড়া আঘাতে বিধ্বস্ত হন কাইল ভেরেনে ও এইডেন মার্করাম।

ভান ডার ডুসেনকে সঙ্গী কোরে বাভুমার প্রতিরোধ। বিপজ্জনক হয়ে ওঠা এই জুটি ভাঙেন শরিফুল। বাভুমাকে প্যাভিলিয়নে ফেরান ৩১ রানে। ফিফটি করে দলকে জয়ের চাকা সচল রাখেন মিলার। আম্পায়ারদের বিতর্কিত সিদ্ধান্তে বেচে গেলেও শেষ পর্যন্ত ধরা পড়ে তাসকিনের জালে।

মিলারের বুদ্ধিদীপ্ত ব্যাটিং এ হৃদয় নিবুনিবু বাংলাদেশী সমর্থকদের।

কিন্তু তার আর হয়নি শেষ পর্যন্ত টাইগার বোলারদের বুদ্ধিদীপ্ত বোলিংয়ে সাউথ আফ্রিকায় প্রথম জয় পায় বাংলাদেশ।

এ যেন নতুন এক বিরত্বগাঁথা ইতিহাস।

টাইগার সমর্থকদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে মুখরিত বাংলার আকাশ বাতাস।

এভাবেই এগিয়ে যাক বাংলার ক্রিকেট।