আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর একজন পরিশ্রমী কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম । সরকারের বিরাট অংশের অংশীদার হিসেবে যথাযথ নির্দেশনা মোতাবেক মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের ভিশনকে বাস্তবায়নের লক্ষে দিন-রাত কাজ করে চলেছেন। পেশাগত দায়িত্বের পাশাপাশি সামাজিক কর্মকান্ডে নিজের ব্যক্তি উদ্যেগে এগিয়ে আসছেন।

কথা বলছি গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুরের উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামকে নিয়ে। যিনি ইতিমধ্যে প্রশংসনীয় জোয়ারে ভাসছেন আনসার ও ভিডিপির সকল সদস্য/সদস্যা সহ বিভিন্ন দপ্তরে। করোনাকালীন সময়ে ফ্রন্টলাইনের যুদ্ধা হিসাবে মুকসুদপুর উপজেলায় লক-ডাউন, হোম কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতকরণ, স্বাস্থ্য সচেতনতা, সেবা ও নিরাপত্তামূলক কাজ থেকে সকল ধরনের কাজই নিষ্ঠার সঙ্গে পালন করছেন।

আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, গুরুত্বপূর্ণ সরকারি স্থাপনা ও বেসরকারি শিল্পকারখানার নিরাপত্তা প্রদানে আনসার বাহিনীর সদস্যরা স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। নিজ নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দিন-রাত উপজেলার এক প্রান্ত থেকে অন্য পান্তে কাজ করে যাচ্ছে তাঁর নির্দেশক্রমে উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর সদস্যরা। মৃত্যুর ভয় দূর করে করোনা ভাইরাসের শুরু থেকেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। এখন করনা ভাইরাসের ২য় ওয়েব মোকাবলায় কাজ করে যাচ্ছেন। সরকারি অর্থায়নের পাশাপাশি নিজ অর্থায়নেও স্বাস্থ্য সামগ্রী ও মানুষকে আর্থিক ভাবে সহযোগিতা করছেন উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম। শুধু কোভিড-১৯ মহামারিতেই নয় তিনি নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন ঘূর্ণিঝড় আম্পানেও।

ছুটে গেছে ঘূর্ণিঝড়ে কবলিত মানুষদের কাছে বিভিন্ন সাহায্য সহযোগিতা নিয়ে। মুকসুদপুর উপজেলা আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে উপজেলা কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলামের নিজ উদ্যোগে ২৭০টি গ্রামের প্লাটুনভুক্ত প্রায় ১৭০০০ আনসার ও ভিডিপি সদস্য/সদস্যাদের গ্রাম লিডারদের মাধ্যমে ইউনিয়ন দলনেতা-দলনেত্রী/আনসার কমান্ডারদের নেতৃত্বে কাজ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

মুকসুদপুর উপজেলার কাশালিয়া ইউনিয়নের ইউনিয়ন সহঃ আনসার প্লাটুন কমান্ডার সুমন মৃধা বলেন, আমাদের উপজেলার আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম একজন মানবিক অফিসার। তিনি আমাদের নিজ থেকে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সহযোগিতা করেছেন এবং প্রতিটি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবী আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের দিনরাত স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে এবং মোবাইল এর মাধ্যমে খোঁজখবর নেয়। উপজেলার সরকারি ও বেসরকারি সংস্থায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা ও সেবা প্রদানের জন্য এ উপজেলার সকল আনসার ও ভিডিপি সদস্যরা সশস্ত্র/নিরস্ত্র/স্বেচ্ছাসেবী সবাই যে যার জায়গা থেকে দিন-রাত ২৪ ঘন্টা নিরাপত্তা রক্ষায় সতর্ক রয়েছে। এই মানবিক কর্মকর্তা জন্মগ্রহণ করেছেন গাজীপুরের কাশিমপুর থানাধীন বাগবাড়ী গ্রামে।

চার ভাই-বোনের মধ্যে তিনি ২য়। বাবা কৃষি কাজ করে মানুষ করেছে ভাই বোনদের। বড় ভাই মোঃ সাইদুর রহমান এবং ছোট বোন মুক্তা আক্তার বেসরকারি কোম্পানীতে উচ্চ পদে চাকুরী করে। আরেক ছোট ভাই মোঃ শফিকুর রহমান (শান্ত) বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে এ বছর। শিক্ষাগত জীবনে সাভারের গুমাইল হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করে এইচএসসি-এর জন্য ভর্তি হয় সাভার মডেল কলেজে এরপর পরিসংখ্যান বিষয়ে অনার্স এবং মাস্টার্স জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করে পিএসসি র মাধ্যমে প্রবেশ করে কর্ম জীবনে। খাগড়াছড়ি জেলার গুইমারাতে ২২ আনসার ব্যাটালিয়নে কোম্পানী কমান্ডার হিসাবে কর্মদক্ষতার পরিচয় দিয়ে ২১/০৭/২০২০ খ্রি: উপজেলা আনসার ও ভিডিপি কর্মকর্তা হিসেবে গোপালগঞ্জ জেলার মুকসুদপুর উপজেলায় ২য় পোস্টিং বর্তমানে এখানে কর্মরত আছেন।

কিছু দিন আগে ১৯/১১/২০২০ খ্রি: তারিখ বহুগ্রামে একটি গ্রাম ভিত্তক অস্ত্রবিহীন ভিডিপি মোলিক প্রশিক্ষণ সুষ্ঠভাবে সম্পন্ন করেছেন, মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় ফলজ, বনজ গাছের চারা রোপন, উপজেলায় শিক্ষানবিশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রাপ্তির সহযোগিতা, উপজেলার সকল আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের জীবনমান উন্নয়নে সরকার কর্তৃক আনসার ভিডিপি উন্নয়ন ব্যাংক উপজেলা শাখা হতে বিভিন্ন অংকের লোনের মাধ্যমে আনসার ও ভিডিপি সদস্যদের সাংসারিক, পারিবারিক,ব্যবসায়ীক কাজে সহযোগিতা, কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রদান ও ব্যবস্থা গ্রহণ অগনিত কার্যক্রোম বাস্তবায়ণ করেছে। মুকসুদপুর উপজেলার আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর এই চৌকোস কর্মকর্তা মোঃ সাইফুল ইসলাম জানান, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়তে তাঁর দেওয়া ইন্সট্রাকশন মোতাবেক শ্রদ্ধেয় জেলা কমান্ড্যান্ট মহোদয়ের নির্দেশে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মহোদয় এবং অফিসার ইন চার্জ মহোদয়ের সাথে সমন্বয় করে নিষ্ঠার সাথে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছি এবং যাব।