প্রিন্ট এর তারিখঃ জানুয়ারী ১২, ২০২৫, ৭:৪৭ পি.এম || প্রকাশের তারিখঃ ডিসেম্বর ১৫, ২০২০, ১১:৪০ অপরাহ্ণ
আজ ১৬ই ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস
পৃথিবীর সব স্বাধীন দেশের স্বাধীনতা দিবস থাকলেও বিজয় দিবস থাকে না। বাংলাদেশ সেই বিরল সৌভাগ্যের অধিকারী দেশ, যেটি ২৪ বছরের রাজনৈতিক আন্দোলন-সংগ্রামের পর রণাঙ্গনে শত্রুকে পরাজিত করে বিজয় অর্জন করেছে। আমাদের স্বাধীনতার বয়স এখন ৪৪ বছর। ইতিহাসের প্রেক্ষাপটে এটি খুব বেশি দীর্ঘ সময় না হলেও একটি জাতির উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য একেবারে কম নয়। স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, যে লক্ষ্য ও আদর্শকে সামনে রেখে আমরা মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম, সেই লক্ষ্য ও আদর্শ কতটা অর্জিত হয়েছে? স্বাধীনতার প্রধান আকাঙ্ক্ষা ছিল সব ধরনের অধীনতা থেকে মুক্তি এবং সমাজে গণতন্ত্র, ন্যায় ও সমতা প্রতিষ্ঠা। সব নাগরিকের মৌলিক চাহিদা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে বাহাত্তরের সংবিধানে জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতাকে মৌলিক নীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল। বিজয় মানে,সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি বিজয় তুমি হায়দার হোসেনের গণতন্ত্রের হাসি। হায়দার হোসেনের সে গণতন্ত্রের হাসি ফুটে ওঠে প্রতিটি মানুষের মুখে, সুন্দর ও স্বচ্ছন্দময় হোক প্রতিটি মানুষের জীবন এই কামনা ব্যক্ত করছি। আজকের বিজয় দিবসের শপথ হোক, সব ধরনের হানাহানি ও বৈরিতা-বিদ্বেষকে পেছনে ফেলে, দেশের ও জনগণের কল্যাণে সবাই এক হয়ে কাজ করব। আর এ ক্ষেত্রে রাজনৈতিক দল ও নেতৃত্বের দায়ই যে বেশি, সে কথা বলার অপেক্ষা রাখে না। বিজয়ী জাতি কখনোই পরাভব মানে না। বাংলাদেশ তার লক্ষ্যে অবিচল থাকবে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনীকে পরাস্ত করে বিজয় অর্জন করে বাংলাদেশ। যেসব কীর্তিমান মানুষের আত্মত্যাগে এই বিজয় সম্ভব হয়েছিল, বিজয়ের দিনে তাঁদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। যেসব বীর মুক্তিযোদ্ধা নয় মাসের রক্তক্ষয়ী লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে এ বিজয়কে অনিবার্য করে তুলেছিলেন, দৈনিক শতবর্ষ পরিবারের পক্ষ থেকে তাঁদের প্রতি জানাই সশ্রদ্ধ অভিবাদন।
© প্রকাশক কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত