চিত্রা নদীতে বাহারি নৌকা চলবে আর সেখানে বসে ছবি আঁকা শিখবে শিশুরা। কি অভিনব চিন্তা করতেন মানুষটি! বাংলার গ্রামীণ প্রকৃতি, কৃষি ও কৃষক, ইতিহাস- ঐতিহ্য, দ্রোহ-বিপ্লব তাঁর রং-তুলির আঁচড়ে জীবন্ত হয়ে ফুটে উঠেছে।

চিত্রা নদী আর এই মাটিকে ভালোবেসে তিনি শেষজীবনে চলে এসেছিলেন তাঁর জন্মভূমির মাটিতেই। যেখানেই তিনি চিরনিদ্রায় শায়িত। এস এম সুলতান একজন বাংলাদেশি প্রখ্যাত চিত্রশিল্পী। তার জীবনের মূল সুর-ছন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের গ্রামীণ জীবন, কৃষক এবং কৃষিকাজের মধ্যে। আবহমান বাংলার সেই ইতিহাস-ঐতিহ্য, দ্রোহ-প্রতিবাদ, বিপ্লব-সংগ্রাম এবং বিভিন্ন প্রতিকূলতার মধ্যেও টিকে থাকার ইতিহাস তার শিল্পকর্মকে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করেছে।

তার ছবিতে গ্রামীণ জীবনের পরিপূর্ণতা, প্রাণপ্রাচুর্যের পাশাপাশি শ্রেণির দ্বন্দ্ব এবং গ্রামীণ অর্থনীতির হালও অনেকটা ফুটে উঠেছে। তার ছবিগুলোতে বিশ্বসভ্যতার কেন্দ্র হিসেবে গ্রামের মহিমা উঠে এসেছে এবং কৃষককে এই কেন্দ্রের রূপকার হিসেবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।তিনি ছিলেন একজন সুরসাধক এবং বাঁশিও বাজাতেন।

পুরোনামঃ শেখ মোহাম্মদ সুলতান। ডাকনামঃ লাল মিয়া জন্মঃ ১০ আগস্ট,১৯২৩ জন্মস্থানঃ মাছিমদিয়া, নড়াইল। মৃত্যুঃ ১০ অক্টোবর,১৯৯৪ স্থানঃ সম্মিলিত সামরিক হাসপাতাল,যশোর। শিক্ষাঃ -ভিক্টোরিয়া কলেজিয়েট স্কুল,নড়াইল।

-কলকাতা আর্ট স্কুল কর্মজীবনঃ ১৯৪৬-১৯৯৪ পিতাঃ শেখ মোহাম্মদ মেসের আলী, পেশাঃ কৃষক ও রাজমিস্ত্রী পুরস্কারঃ -একুশে পদক(১৯৮২) -চারুশিল্পী সংসদ সম্মান(১৯৮৫) -স্বাধীনতা দিবস পুরস্কার(১৯৯৩)