হিন্দু (সনাতন)
ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজার পূণ্যলগ্ন শুভ মহালয়া আজ শনিবার। দুর্গোৎসবের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পর্বের একটি মহালয়া।
মহালয়ার এই দিনে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মর্ত্যলোকে আমন্ত্রণ জানানো হয় শক্তির দশভুজা দেবীকে। দুর্গোৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ মহালয়া। কারণ এ দিন থেকেই শুরু হবে দেবীপক্ষের। অর্থাৎ দুর্গাপূজার ক্ষণ গণনা শুরু হচ্ছে এ দিন থেকেই।
আজ (১৪ অক্টোবর) ভোর ছয়টা থেকে বরিশাল মহানগরীর স্ব-রোডস্থ শ্রী শ্রী রাধাগোবিন্দ নিবাস এর অগ্রগামী যুব সংঘ ও তীলক গ্রুপ নাট্যদলের আয়োজনে মহালয়া অনুষ্ঠানে শ্রী শ্রী চণ্ডীপাঠ, মায়ের আগমনী গান, নৃত্য ও সর্বশেষ দূর্গা-দূর্গতিনাশিনী নাটক অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠান শুরু লগ্নে চণ্ডীপাঠের মাধ্যমে মহিষাসুরমর্দিনী দেবী দুর্গাকে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোকে আসার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন মন্দির ও পূজা মন্ডপ গুলোতে মঙ্গলঘট স্থাপন এবং ঢাক-কাঁসর ও শঙ্খ বাজিয়ে দেবীকে মর্ত্যে আহ্বান জানায় ভক্তরা।
মহালয়ার প্রথম প্রহরে পিতৃপক্ষের শেষ আর দেবীপক্ষের শুরু হয়। এই উপলক্ষে দেশের সকল মন্দির ও পূজামণ্ডপে ধর্মীয় নানা আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন থাকবে। ত্রিভঙ্গচরণ ব্রহ্মচারীর চণ্ডীপাঠের সাথে সমবেত কণ্ঠে ইয়াচণ্ডী অর্চনা করবে ভক্তরা।
এরপর মূল আচার-অনুষ্ঠান হিসেবে ঘট স্থাপন করে ফুল, তুলসী ও বেলপাতা দিয়ে পূজা করা হবে। মহালয়ার দিন থেকেই দুর্গাপূজার চূড়ান্ত প্রস্তুতি শুরু হয়ে যায়।
মহালয়ার এই শুভারম্ভের পর আগামী ২০ অক্টোবর ষষ্ঠীপূজার মধ্য দিয়ে পাঁচ দিনের দুর্গোৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা ঘটবে। সনাতন বিশ্বাস ও পঞ্জিকামতে, দেবী দুর্গা এবার ঘোড়ায় চড়ে স্বর্গলোক থেকে মর্ত্যলোক বা পৃথিবীতে আসবেন। দেবী বিদায়ও নেবেন ঘোড়ায়। যার ফল হচ্ছে ফসল ও শস্যহানি।