বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজের সূত্রে,সম্প্রতি করোনা মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম এগিয়ে নিতে ছাত্র-শিক্ষকরা যখন প্রস্তুতি নিচ্ছে ঠিক তখনই ছাত্রাদলের ক্যাডাররা বহিরাগত সন্ত্রাসীদের নিয়ে অস্ত্রশস্ত্রসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তিপূর্ণ ও স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করে অস্থিতিশীল করার অপকৌশল নিয়েছে। ছাত্রদলের ক্যাডাররা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অছাত্র-বহিরাগতদের সাথে নিয়ে যখন ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা তখন তাদের প্রতিরোধ করেছে। নিরাপদ ক্যাম্পাসে ছাত্রদলের এই সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে এবং ক্যাম্পাসের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অক্ষুন্ন রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একাত্মতা ঘোষনা করেছে।
বিএনপি-জামাত জোট সরকারের শাসনামলে সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রদল যেভাবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বাংলাদেশের সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্ত এবং সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল, অস্ত্রের ঝনঝনানি আর বুলেটের শব্দে আতংকিত থাকতো ক্যাম্পাস, সাধারণ শিক্ষার্থী এবং ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের রক্তে ভেজা থাকতো হল ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণ, এই সন্ত্রাসী বাহিনী ছাত্রদল অছাত্র বহিরাগতদের দিয়ে আবারও সেইসব দিন ফিরিয়ে আনার পাঁয়তারা করছে। সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রের অংশহিসেবে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার করার প্রবণতা বিএনপি-জামাত বরাবরই শোষণ করে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ অস্থিতিশীল করার যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন তাদের কোনো ষড়যন্ত্রই সফল হবে না। অছাত্র- বহিরাগতদের নিয়ে এসে ক্যাম্পাসের পরিবেশ উত্তপ্ত করার সুযোগ সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনই দেবে না। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পরিবেশ শান্তিপূর্ণ রাখতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে থেকে বরাবরই তাদের প্রতিহত করে এসেছে, আগামীতেও প্রতিহত করতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সংকল্পবদ্ধ।
বিগত কয়েক দিন যাবত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের উপর বহিরাগত ছাত্রদল সন্ত্রাসীদের সশস্ত্র হামলার প্রতিবাদে এবং ক্যাম্পাসে শিক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখা, ক্যাম্পাসে সহিংসতার উদ্দেশ্যে বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আগামীকাল ২৯ মে ২০২২, রবিবার মানববন্ধন কর্মসূচি আহবান করেছে।
স্থানঃ টিএসসি সংলগ্ন রাজু ভাস্কর্য
সময়ঃ সকাল ৯.০০ ঘটিকা
উক্ত মানববন্ধন কর্মসূচিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সকল নেতাকর্মীকে যথাসময়ে অংশগ্রহণ করবে। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সকল ইউনিট অনুরূপ কর্মসূচি গ্রহণ করবে।