আজ টুঙ্গিপাড়ায় আরো একজন করোনায় মৃত্যু

আজ
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আজ ৭ই জুলাই বুধবার সকাল ১০:০০ মোঃ কেরামত আলী খান (৬৭) নামে এক বৃদ্ধের মৃত্যু হয়েছে। মহামারী (কোভিট ১৯) করোনায় আক্রান্ত হয়ে তিনি তার নিজ বাসায় হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
মৃত মোঃ কেরামত আলী খান (৬৭) টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বর্ণি ইউনিয়ন এর বাশুড়িয়া গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের মোঃ আঃ মালেক খান এর ছেলে। মৃত মোঃ কেরামত আলী খান গত ৫ই জুলাই কোভিট টেস্ট করালে তার করোনা পজিটিভ আসে। পজিটিভ আসার ২ দিন পর আজ ৭জুলাই বুধবার সকাল ১০ ঘটিকায় তিনি তার নিজ বাড়িতে হোম কোয়ারেন্টাইনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু বরন করেন। পরে উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে মৃত মোঃ কেরামত আলী খান কে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক দাফন কার্য সম্পাদন করে।
টুংগীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.জসিম উদ্দিন দৈনিক শতবর্ষকে মুঠোফোনে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। উল্লেখ্য,বাংলাদেশে গত কয়েকদিন ধরে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যা প্রতিদিনই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাচ্ছে। গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে। গত জুন থেকে আগস্ট—এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র।
মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে। কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই। জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ের পরিস্থিতি খারাপের দিকে গিয়েছে।
কিন্তু সংক্রমণ আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকলেও জনগণের মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মানার ক্ষেত্রে এখনো উদাসীনতা দেখা যাচ্ছে। জনস্বাস্থ্যবিদেরা বলছেন, সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করতে হলে মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মানার বিকল্প নেই।
Seen by Farhan at 1:29 PM


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *