আজও মেলেনি ৭১ এর মুক্তি যোদ্ধে পাকিস্থানে ব›িদ্ব বাংলাদেশী সেনা সদস্যদের স্বীকৃিত।

স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও স্বীকৃতি মেলেনি ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ কালীন সময়ে পাকিস্থানে ব›িদ্ব বাংলাদেশ সেনা বাহিনীর সেনা সদস্যদের। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সারা বাঙ্গালী জাতি যখন দেশকে হানাদা মুক্ত করার লক্ষে আস্ত্র হাতে যুদ্ধে গিয়েছিল, ঠিক সেই মুহুর্তে পশ্চিম পাকিস্থানে কর্মরত তৎকালীন সময়ের পুর্ব-পাকিস্থানের সেনা সদস্যদের পাকিস্থান সরকার ব›িদ্ব করে। ব›িদ্ব সেনা সদস্যদের ও তদের পরিবারের উপর পাকিস্থান সরকার অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতন চালায়। দির্ঘ্য ৯ মাস স্ব-পরিবারে নির্যাতনের শিকার সেনা বাহীনির সদস্যরা।

পশ্চিম পাকিস্থানে যুদ্ধ কালীন সময় ব›িদ্ব সেনা সদস্য এ,জেড,এম শহিদুর রহমান,পিতা মৃতঃ আব্দুল জলিল গিমাডাঙ্গা, টুঙ্গিপাড়া, গোপালগঞ্জ বলেন, আমি ১৯৬৬ সালে তৎকালীন সরকারের আমলে সেনা বহিনীতে যোগদান করি, ৭১এর যুদ্ধের সময় আমাকে ও আমার স্ত্রী, সন্তান সহ ব›িদ্ব করে করাচি মালির ক্যাম্পে। আমি ও আমার পরিবারের উপর পাক হানাদার বাহিনীর সদস্যরা চালিয়েছিল আনেক অন্যায় অত্যাচার। যুদ্ধ পরবর্তী কালে দির্ঘ্য তিন বছর আমাদের নির্মম যন্ত্রনা ভোগ করতে হয়েছে পাকিস্থানী বাহিনীর জি আর সি ক্যাম্পে। অবশেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে রেড ক্রসের মাধ্যমে ১৯৭৩ সালের ২৩শে ডিসেম্বর আমরা আমাদের কাঙ্খিত বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলায় ফিরে আসি।


এ ব্যাপারে গনমাধ্যম কর্মীরা জানতে চাইলে পাকিস্থানে ব›িদ্ব মোঃ খলিলুর রহমান, পিতা মৃতঃ- খেলাফৎ শেখ, মাঝিগাতী, সিবপুর, গোপালগঞ্জ বলেন, ১৯৭০ সালে আমি সেনা বাহিনীতে যোগদান করি, আমাকে প্রশিক্ষনের জন্য ক্যাম্বেল পুর সেন্টারে পাঠানো হয়। ট্রেনিং শেষে ৭৩ মিডিয়াম রেজিমেন্ট লাহোর পাঠানো হয় এরই মধ্যে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখমুজিবুর রহমানের ডাকে শুরু হয় মুক্তিযুদ্ধ। আমরা বঙ্গবন্ধুর ডাকে দেশে ফিরে আসতে চাইলে পাকিস্থানী সেনা বাহিনীরা আমাদেরকে বাধাঁদেয় এবং আমাদেরকে আটোক করে প্রথমে ভানু ক্যাম্পে আটকে রাখে। সেখান থেকেও আমরা পালাবার চেষ্ঠা করলে আমাদেকে মন্ডি বাহাউদ্দিনের ক্যাম্পে বন্ধি করে। দীর্ঘ ৩ বছর করা জীবন ভোগ করি। কারাগারে আমাদের উপর অমানবিক অত্যাচার। প্রথমে আমাকে কোয়াটার গার্ড দেয়, তারপর সারাদিন না খাইয়ে রাখতো, গরমে বালুর মধ্যে পষোক পরিয়ে দাড়িয়ে রাখত মাস শেষে ২০ টাকা ধরিয়ে দিত। স্বাধীনতা যুদ্ধ কালীন সময় পশ্চিম পাকিস্থানে আমাদের উপর অমানবিক অত্যাচার ও নির্যাতনের শিকার হই। যুদ্ধ পরবর্তী কালে দেশ স্বাধীন হওয়ার দীর্ঘ ২ বছর পর রেড ক্রসের মাধ্যমে আমাদের প্রিয় জন্ম ভুমিতে ১৯৭৩ সালের অক্টোবরের ৭ তারিখ বিকাল ৫টায় বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তন করি। তারপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আর্টিলারিতে যোগদান করি।
তৎকালীন সময়ে বন্ধি সেনা সদস্য সার্জেন্ট মোঃ সালাম শেখ, পিতা মৃতঃ মেছের শেখ, সোনাসুর পাইককান্দি, গোপালগঞ্জ, বলেন আমি মেলেটারি পুলিশে ১৯৬৬ সালে যোগদান করি। মুক্তি যুদ্ধের সময় পাকিস্থানিরা আমাকে পেশোয়ার জি আর সি ক্যাম্পে দীঘ ২৪ মাস আটোক করে অমানবিক নির্যাতন করে।
যুদ্ধ কালীন সময়ে পাকিস্থানে বন্ধি সকল সেনা সদস্যদের মুক্তি যোদ্ধার স্বীকৃতি ও তালিকা ভুক্ত করার আহব্বান করে বলেন, আমরা নিজেদেরকে গর্ভিত মনে করি যে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যে মাটিতে জন্ম নিয়েছে আমরা সেই পবিত্র ভুমির সন্তান, আমরা কেন আজও অবহেলায় পড়ে থাকবো। আমরা জাতির পিতা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সুযোগ্য কন্যা বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী সেখ হাসিনার নিকট আমাদের এই আহব্বান।

 



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *