আগামী ২৫ জুন সপ্নের পদ্মা সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালী ও জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়ার অন্যতম প্রধান মাধ্যম এবং দক্ষিণ বাংলার মানুষের দীর্ঘ-প্রতিক্ষীত সপ্নের পদ্মা সেতুর শুরুতেই নানান অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তার মুখে পরে এই মেগা প্রকল্পটি। তবে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসিকতা ও আত্মদৃঢ়তার ফলে দেশের সর্ববৃহৎ এবং দীর্ঘতম সপ্নের এই সেতু আজ বাস্তবে রূপলাভ করেছে।

এই সেতু নির্মাণের কার্যক্রম শুরুতেই যেমন দুর্নীতির অভিযোগ উঠে তেমনি পদ্মা সেতু বাস্তবায়ন ঠেকাতে বিভিন্ন দেশি-বিদেশি সংস্থা ও ব্যক্তির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ উঠে। সব ষড়যন্ত্র ও বাধা মোকাবিলা করে আর মাএ এক মাস পরে উদ্বোধনের অপেক্ষায় এই সেতু এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের পর অর্ধশতাব্দিরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ স্থাপনা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে। যাহা বঙ্গবন্ধু তনয়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও সাহসিকতার ফলেই সম্ভব হয়েছে। উল্লেখিত এই পদ্মা সেতু নির্মাণে বিশ্ব ব্যাংক ১২০ কোটি ডলার ঋণ দিতে চেয়েছিল বাংলাদেশকে কিন্তু অযৌক্তিক দুর্নীতির অভিযোগ এনে ২০১২ সালে বিশ্বব্যাংক অর্থ দেবে না বলে জানিয়ে দেয়। ফলে এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অনিশ্চিত হয়ে পড়ে পদ্মা সেতু নির্মাণের এই অগ্রযাএা। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তেই দেশরত্ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সমস্ত প্রক্রিয়াটি নিজ আমলে বিশ্লেষণ করেন ও বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের ঘোষণা দেন। যদিও পরবর্তীতে কানাডার আদালত বিশ্বব্যাংকের এই দুর্নীতির অভিযোগের কোনো প্রমাণ না পেয়ে অভিযোগটি খারিজ করে দেয়।

এরপর বাংলাদেশ বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন ছাড়াই নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু নির্মাণ কাজ শুরু করে। এই সেতু নির্মাণে এ পর্যন্ত খরচ হয়েছে সর্বমোট ৩০ হাজার ১৯৩ দশমিক ৩৯ কোটি টাকা। দেশের প্রধান নদী পদ্মার ওপর নির্মিত এই সেতুটির মোট দৈর্ঘ্য প্রায় ৯ কিলোমিটার। এই পদ্মা সেতুর মাধ্যমে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের ১৯ টির জেলার সঙ্গে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ নিশ্চিত হবে। দুইতলা বিশিষ্ট এই সেতুর ওপরের অংশে সড়ক পরিবহন এবং নিচের অংশে রেল চলাচল করবে।

এই পদ্মা সেতু উদ্বোধনের ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের নেতা ও স্থানীয় সরকারের মন্ত্রী পরিষদ জানান,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ়তা ও অদম্য সাহসিকতার ফলে যেমন পদ্মা সেতু নির্মাণ সম্ভব হয়েছে, টিক তেমনি নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করার মাধ্যমে বৈদেশিক নির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে এসে কোনো কাজ করা সম্ভব সেটাও বাংলাদেশ প্রমাণ করেছে। যারা মনে করেন, বৈদেশিক অর্থ ছাড়া চলে না নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করে দেশরত্ন শেখ হাসিনা তাদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শুধু সাহসিকতার সঙ্গে এত বড় সাফল্য অর্জনই করেননি তার নামে এই সেতুর নামকরণের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়ে অনেক বড় উদারতাও দেখিয়েছেন। বিভিন্ন দিক থেকে দাবি উঠেছিল এই সেতুর নাম শেখ হাসিনা সেতু করার। আর যিনি এত বড় ঝুঁকি নিয়ে সে সেতু নির্মাণ করলেন সেটি তার নামে নামকরণ অস্বাভাবিকের কিছুই ছিল না। কিন্তু তিনি সেটা করেননি। সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় থেকে তার নাম প্রস্তাব করে যে সামারি নিয়ে গিয়েছিলো এই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির সেই সামারিতে প্রধানমন্ত্রী নিজেই স্বাক্ষর করেননি।

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের পরবর্তীতে প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে বলেন, তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বলেছেন পদ্মা সেতু এই পদ্মা নদীর নামেই হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *