অবহেলার কারণে শিশু মৃত্যুর অভিযোগ

ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাবে ১বছরের এক শিশু মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। আজ সকাল অক্সিজেনের অভাবে এই শিশুর মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ করছেন শিশুটির পরিবার। শিশুটার বাবা ফয়সাল শুভ অভিযোগ করে বলেন, গতকাল রাতে আমার মেয়ের শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণে আমি রাতে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। কালকে রাত থেকে অক্সিজেনের ৫টা সিলিন্ডার পাল্টানো হইছে সিলিন্ডারের মধ্যে কোন অক্সিজেনে ছিল না। আমার সামনে আমার মেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়ে। আমি তাদের পা পর্যন্ত ধরছি যে আমাকে একটু অক্সিজেনটা ম্যানেজ করে দেন। কিন্তু তারা আমার কোন কথা শোনেনি। শিশুটির মা কাকন আক্তার অভিযোগ করে বলেন, আমি কালকে সন্ধ্যায় আমার মেয়ের শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছে দেখায় আমি ওর বাবাকে ফোন দিয়ে সদর হাসপাতালে নিতে বলি আমার মেয়েকে। পরে ২জনে সদর হাসপাতালে আমার মেয়েকে ভর্তি করাই। কিন্তু ভর্তি করার পর থেকে তেমন কোন নার্স বা ডাক্তার আসেনি আমার মেয়েকে দেখতে । অক্সিজেন সিলিন্ডার দিছে কিন্তু অক্সিজেন আসে না শুধু ঘুরে। এই ভাবে প্রায় সারারাত ধরে ৫টা সিলিন্ডার পাল্টানো হয়। সকালে আমার চোখের সামনে আমার মেয়ে ছটফট করতে করতে মারা যায়। আমি এর সুষ্ট বিচার চাই। নার্স ও ডাক্তারদের অবহেলার কারণে আমার বাচ্চাটা মারা গেছে। এ বিষয়ে কর্মরত নার্স মাকসুদা বেগম বলেন, এই শিশুকে কালকে রাতে আমাদের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয়। শিশুর অবস্থা তেমন ভাল ছিল না। আমি তার বাবা মাকে বার বার বলি যেন উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসক ও ডিজিটাল মেশিনের অভাব। এ বিষয়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের সিভিল সার্জন মাহাফুজুর রহমান সরকার জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। এমন ঘটনা অত্যান্ত দুঃখজনক অত্যান্ত মর্মান্তিক। এ বিষয়টি আমি গুরুত্বপূর্ণ ভাবে দেখতেছি। রাতের কর্মরত ডাক্তার ও নার্সেদের সাথে কথা বলে আমরা প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। ঠাকুরগাঁও শিশু বিশেষজ্ঞ ডা: শাহাজান নেওয়াজন বলেন, এমন ঘটনা আসলে বেদনা দায়ক। আমি কালকে রাতে শিশুটিকে দেখে বুঝছি তার অবস্থা ভাল না । তার অক্সিজেন গ্রহণ করতে কষ্ট হচ্ছিল। আমি রাতের পরামর্শ দেই যে শিশুটিক রাতেই রংপুরে নিয়ে যাওয়া হয়। কারণ আমাদের হাসপাতালে ডিজিটাল অক্সিজেন মেশিন নেই। পুরোনো কিছ’ মেশিন আছে যা তেমন কাজ করে না।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *