অফিস না করে বেতন ভাতা ভোগ করছেন বি আই ডাব্লু টি এ এর কর্মচারী কাওসার আলী মোল্লা।


অফিসে না গিয়ে ঘরে বসে হাজিরা, ঘরে বসেই মাস শেষে বেতন উত্তলোন করেন বি আই ডাব্লু টি এ মাদারীপুরের দায়ীত্বরত কর্মচারি।
মাদারীপুর জেলার বি আই ডাব্লু টি এ- এর পল্টুন লস্কর কাওসার আলী মোল্লা (৫২) পিতা মৃতঃ সোনা উল্লাহ মিয়া, গ্রাম- করপাড়া, পোস্ট করপাড়া, জেলা গোপালগঞ্জ, দির্ঘ্য দিন যাবৎ চাকুরী রত আছেন। এলাকা বাসীর এক অভিযোগে যানা যায় কাওসার আলী মোল্লা সরকারি চাকরি করে কিভাবে সারা মাসে বাড়ি বসে থাকে। সাংবাদ কর্মীদের একটি দল রবিবার (৬/৬/২০২১ইং) তার কর্মস্থলে সকাল সাড়ে এগারোটায় উপস্থত হন সেখানে তাকে না পেয়ে একই দিন দুপুর ১ টার সময় তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায় তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি ঠিকমতো অফিসে যেতে পারি না।
গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুর অফিস করা আমার জন্য খুব সমস্যা হয়। তাছাড়া আমারা যে ডিউটিতে আছি তা না করলেও সমস্যা হয় না। আমাদের উপরের কর্মকর্তারাও যদি জানতে পারে আমরা কাজে যায় নাই তারাও আমাদের কিছু বলে না। তাহলে আপনাদের সমস্যা কোথায়। আমরা সারা মাস ডিউটি না করলেও সরকার আমাদের বেতন দেবে এ নিয় আপনাদের মাথা ব্যথা কেন। আপনারা শত চেস্টা করেও আমার কিছু করতে পারবেন না। সরকারের টাকা খাই আপনাদের টাকা খাই না। আমরা জানতে পারলাম তিনি মাস গেলে খুলনা ৭নং ঘাট থেকে বেতন উত্তলোন করেন।
কাওসার আলী মেল্লা স্ত্রীর বড় ভাই শেখ মোঃ আসাদুজ্জান বি আই ডাব্লু টি এ সদরঘাট কর্মরত আছেন তিনি সাংবাদিকদেরকে মুঠোফোনে বলেন, কাওসার মোল্লা আমার বোন জামাই ও মাদারীপুর লঞ্চ ঘাটে পল্টুন লস্কর হিসাবে চাকুরীরত আছে, ওনাদের কোন কার্যকক্রম নাই। ডিউটি না করলে কোন সমস্যা হয় না, বাই রোটেশন ডিউটি করে, আপনাদের সমস্যা কোথায়। তিনি এটাও বলেন ডিউটি না করে সরকারের ঘরের টাকা খাওয়াও অন্যায়। এক পর্যায়ে শেখ মো: আছাদুজ্জামান সাংবাদিকদের হুমকী দেন নিউজ না করার জন্য ।
এ ব্যাপারে জানার জন্য বি আই ডাব্লু টি এর কাঠাল বাড়ী ঘাট ম্যানেজার মোঃ সালাউদ্দিন আহমেদ তিন দিন যাবৎ মুঠোফোনে ফোন করে পাওয়া যায় নাই। মাদারীপুর জেলার সাংবাদিকরাও তাকে মুঠো ফোনে বার বার কথা বলার জন্য চেস্টা করেও কথা বলতে পারে নাই। সরকারের লাগামহীন এই সেক্টরের (বিআইডাব্লু টিএ) দিকে সরকারের নজরদারী প্রয়োজন।