রণিকা বসু(মাধুরী) স্টাফ রিপোর্টারঃ গত দুদিন আগে বাগেরহাটের চিতলমারী ৭নং সন্তোসপুর ইউনিয়নের দুজন মেম্বাবারে নামে সরাকারী ঘর দেবার নাম করে টাকা হাতিয়ে নেওয়া অভিযোগ হয়৷ অভিযোগটি মিথ্যা এবং সাজানো বলে প্রমানিত হয়ে৷৪নং ওয়ার্ড ও ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বারদে নামে মিথ্যা অপবাদ দিতে এক শ্রেনীর কুচক্রের হাত রয়েছে বলে জানা গেছে৷কুচক্রকারীরা তাদের নিজেদের স্বার্থ হাচিল করার জন্য দুই মেম্বারের বিরুদ্ধে অসহায় কিছু মানুষের সরলতা সুযোগ ব্যবহার করেছে বলে জানা যায়৷ এই দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ বানিজ্যের অভিযোগরে সত্যতা মেলেনি। অভিযোগ কারীরা তাদের সুর বদলে ফেলেছে। অন্যের প্ররোচনায় তারা দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন।
অভিযোগে পত্রে জানা গেছে, উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার ও শ্রীবাস রায় প্রধান মন্ত্রীর দেওয়া ঘর এবং করোনা কালে সরকারী প্রণোদণার ২৫০০ টাকা দেওয়ার নামে সাধারণ লোকজনের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেন। এ ব্যাপারে এলাকার ১০ ব্যক্তির স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ পত্র উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে জমা দেওয়া হলে গত ২৪ জুন বুধবার বিষয়টির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ওই দুই ইউপি সদস্য ও অভিযোগকারীদের নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে তদন্তের জন্য তাদের ডাকা হয়। এদিন অভিযোগকারীরা তাদের সুর বদলে অন্যের প্ররোচনায় তারা দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বলে সত্যতা স্বীকার করেছেন। অভিযোগ কারী ভারতী বিশ্বাস, বিধান হীরা, জয়ন্তী বৈরাগী, শংকর হীরারসহ অন্যদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বিষয়টি তাদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে এলাকার একটি কুচক্রি মহল সরকারী অনুদান পেয়ে দেয়ার কথা বলে তাদের স্বাক্ষর করে নেন৷ পরবর্তীতে তারা জানতে পারে তাদের নাম ব্যবহার করে ওই দুই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে অর্থ লেনদেনের অভিযোগ করা হয়েছে।
এ অভিযোগ সঠিক নয় বলে তারা তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছেন। সন্তোষপুর ইউনিয়নের ৪ ও ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য হরেন্দ্র নাথ শিকদার ও শ্রীবাস রায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, স্থানীয় এমপি শেখ হেলাল উদ্দিনের নির্দেশ মোতাবেক করোনা কালে গৃহবন্দী মানুষের মাঝে সব ধরণের সহায়তা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিরোধী একটি কুচক্রী মহল তাদের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করেছে। এ ব্যাপারে চিতলমারী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.মারুফুল আলম জানান, অভিযোগকারী ও দুই ইউপি সদস্যকে সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অফিসে ডাকা হয়েছিল। অভিযোগ কারীরা এখন বিষয়টি অস্বীকার করছে। ঘটনাটি আবারও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।দুই মেম্বার জানান তারা কোন অন্যায় বা দুর্নীতি করেনি৷এবং যারা তাদের বিরুদ্ধে এরকম অসম্মানজক অপপ্রচার করেছেন৷তাদের বিরুদ্ধে মানহানি মামলা দায়ের করবেন বলে জানান৷