৩৯ জেলা পুরোপুরি, ১৫ টি আংশিক লকডাউনে

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দেশের ৩৯ জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। আংশিক লকডাউনে আছে আরও ১৫টি। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।

অধিদপ্তর আরও জানায়, সারা দেশে ৫৫৬টি হাসপাতালে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।চল্লিশ জেলার মধ্যে ঢাকা বিভাগের গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, টাঙ্গাইল ও মুন্সিগঞ্জ পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের এই ১০ টি জেলার বাইরে ময়মনসিংহ বিভাগেরচারটি জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুর; চ্টগ্রামের কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া; রাজশাহীর রাজশাহী, নওগাঁ ও জয়পুরহাট; রংপুরের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমণিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়; খুলনার চুয়াডাঙ্গা; বরিশালের বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর এবং সিলেটের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ লকডাউন করা হয়েছে।

করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় দেশের ৩৯ জেলাকে পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। আংশিক লকডাউনে আছে আরও ১৫টি। আজ বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তর এ তথ্য জানায়।

অধিদপ্তর আরও জানায়, সারা দেশে ৫৫৬টি হাসপাতালে ২৮ হাজার ৫৮৯ জনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের ব্যবস্থা করা হয়েছে।চল্লিশ জেলার মধ্যে ঢাকা বিভাগের গাজীপুর, গোপালগঞ্জ, কিশোরগঞ্জ, মাদারীপুর, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী, রাজবাড়ী, শরিয়তপুর, টাঙ্গাইল ও মুন্সিগঞ্জ পুরোপুরি লকডাউন করা হয়েছে। ঢাকা বিভাগের এই ১০ টি জেলার বাইরে ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলা ময়মনসিংহ, নেত্রকোণা, জামালপুর ও শেরপুর; চ্টগ্রামের কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া; রাজশাহীর রাজশাহী, নওগাঁ ও জয়পুরহাট; রংপুরের রংপুর, গাইবান্ধা, লালমণিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়; খুলনার চুয়াডাঙ্গা; বরিশালের বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা ও পিরোজপুর এবং সিলেটের সিলেট, হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার ও সুনামগঞ্জ লকডাউন করা হয়েছে।

আজ সন্ধ্যার পর লক ডাউন করা হয়েছে রংপুর বিভাগের কুড়িগ্রাম জেলাও। এর বাইরে ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, চট্টগ্রাম, বান্দরববন, ফেনী, বগুড়া, পাবনা, সিরাজগঞ্জ, খুলনা, বাগেরহাট, যশোর, নড়াইল, ভোলা ও ঝালকাঠির বেশ কিছু এলাকা লকডাউন করা হয়েছে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক দেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত অনলাইন ব্রিফিং করেন। দেশে ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্তের সংখ্যা আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। তবে এই সময়ে মৃত্যুর সংখ্যা কমেছে। ২৪ ঘণ্টায় ৭ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। একই সময় দেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত হয়েছেন ৪১৪ জন। এর মধ্য দিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্তের সংখ্যা ৪ হাজার ছাড়াল।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রথম করোনা শনাক্তের পর ৪৫ দিনে দেশে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৭৭২ জন। মারা গেছেন ১২০ জন। আর একই সময়ে ইতালিতে ১ লাখ ৪৫ হাজার শনাক্ত ও মারা গেছে ১১ হাজার। যুক্তরাষ্ট্রে ১লাখ ২০ হাজার শনাক্ত ও মারা গেছে ২৪ হাজার। এই হিসাবে ইউরোপ–আমেরিকার চেয়ে বাংলাদেশের অবস্থা ভালো।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৪১৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। আগের দিন ৩ হাজার ৯৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল। অর্থাৎ, গত ২৪ ঘণ্টায় আগের দিনের তুলনায় বেশি লোকের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। দেশে এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ৯০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে।

আজকের ব্রিফ্রিংয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মারা গেছেন ১২৭ জন। আর মোট শনাক্তের সংখ্যা ৪ হাজার ১৮৬ জন। মোট সুস্থ হয়েছেন ১০৮ জন।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *