এপ্রিল মাসে রিচার্জ করতে পারেননি বা যাদের ব্যালেন্স নেই বললেই চলে, এমন এক কোটি গ্রাহককে ১০ কোটি মিনিট ফ্রি টকটাইম (গ্রাহক প্রতি ১০ মিনিট) দেয়া শুরু করেছে মোবাইল ফোন অপারেটর গ্রামীণফোন।
কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নানা উদ্যোগ ও অবদানের মাধ্যমে চিকিৎসক, গ্রাহক এবং ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের পাশে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে অপারেটরটি ।
শুক্রবার বিকালে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসব উদ্যোগের ঘোষণা দিয়ে গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইয়াসির আজমান বলেন, “কোভিড-১৯ মোকাবেলায় আজ পর্যন্ত গ্রামীণফোনের সকল প্রতিশ্রুত উদ্যোগের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১০০ কোটি টাকা।”
ইয়াসির আজমান বলেন, “গ্রামীণফোন বিশ্বাস করে সরকার ও বিভিন্ন উন্নয়ন সহযোগীদের যৌথ কার্যক্রমের মাধ্যমে এই সংকট মোকাবেলা করা সম্ভব।
“করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সম্মুখসারির যোদ্ধাদের এ পর্যায়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বীকৃত ২৫ হাজার চিকিৎসকদের সহযোগিতা কার্যক্রম আরও প্রসারিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্রামীণফোন। এ কার্যক্রমের আওতায় স্বীকৃত চিকিৎসকদের ১ টাকা টোকেন মূল্যের বিনিময়ে প্রতিমাসে ৩০ জিবি ইন্টারনেট দেয়ার ঘোষণা দিয়েছে গ্রামীণফোন। এই সুবিধা নির্ধারিত চিকিৎসকদের জন্য আগামী ছয় মাস চলমান থাকবে।”
তিনি জানান, এপ্রিল মাসে রিচার্জ করতে পারেননি বা যাদের ব্যালেন্স নেই বললেই চলে এমন শনাক্তকৃত গ্রাহকদের ১০ কোটি মিনিটি ফ্রি টকটাইম দেয়া শুরু করেছে গ্রামীণফোন। প্রতিষ্ঠানটির এ উদ্যোগ মূল্যবান গ্রাহকদের তাদের প্রিয়জনদের সাথে যোগাযোগে সহায়তা করবে।
এছাড়াও জরুরি সেবাদাতা হিসেবে গ্রামীণফোন এ সঙ্কটকালীন সময়ে এর সাড়ে ৭ কোটি গ্রাহকের জন্য সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত প্রতি মিনিট কলরেট ৪৮ পয়সা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, লকডাউন পরিস্থিতিতে ডেটার ব্যবহার বৃদ্ধি মূল্যায়ন করেছে গ্রামীণফোন। যেহেতু দেশের অর্থনৈতিক কার্যক্রম, ব্যবসা-বাণিজ্যে জরুরি সেবা চলছে ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে, তাই মাইজিপি অ্যাপ থেকে কেনা সব সাপ্তাহিক ডেটা প্যাকে ১০০ শতাংশ বোনাস ঘোষণা করেছে গ্রামীণফোন।
এ সঙ্কটের সময়ে ক্ষতিগ্রস্ত খুচরা ব্যবসায়ীদের সহায়তায় গ্রামীণফোন ১০ কোটি টাকা সমমানের সেফটি-নেট ক্রেডিট স্কিমের ঘোষণা দিয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে গ্রামীণফোনের প্রধান বিপনন কর্মকর্তা সাজ্জাদ হাসিব, প্রধান যোগাযোগ কর্মকর্তা খায়রুল বাসার অংশ নেন।