হবিগঞ্জ-১ আসনে মনোনয়ন পত্র দাখিল করলেন কেয়া চৌধুরী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে কেউ স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে পারবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এমন ঘোষণার পর হবিগঞ্জ-১ (বাহুবল-নবীগঞ্জ) আসনে উন্নয়নের স্বার্থে,সমর্থক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের চাপে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণা দিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) দুপুর ২:৩০ মিনিটে বাহুবল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারি রির্টানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহুয়া শারমিন ফাতেমার নিকট মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন সাবেক সংরক্ষিত সংসদ সদস্য আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর।

এসময় তাঁর সঙ্গে ছিলেন বাহুবল- নবীগঞ্জের বীর মুক্তিযোদ্ধা,নবীন-প্রবীণ,নারী নেত্রী সহ সর্বস্তরের জনসাধারণ। মনোনয়ন পত্র জমা দেয়ার পর এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী বলেন,’হবিগঞ্জ-১ অবহেলিত (বাহুবল- নবীগঞ্জ) উন্নয়নের স্বার্থেই জনগণের চাপের মুখে পড়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছি । সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন হলেও এ আসনের তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি। এ কারণে নেতাকর্মী ও জনগণের চাপে পড়ে আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছি। ঘোষণা দেওয়ার পর নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি।

আমি এই দুই উপজেলার সর্বস্তরের নাগরিকদের ভালোবাসা নিয়ে বাঁচতে চাই এবং আপনাদের সাথে নিয়েই বাহুবল-নবীগঞ্জ উন্নয়ন করতে চাই’। আশা করি এ নির্বাচনে আমি বিজয়ী হবো। জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু। এ সময় তিনি সাংবাদিকদের জানান,’জনগণের দাবির কারণে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হচ্ছেন। যেহেতু দলীয়প্রধান শেখ হাসিনা নির্বাচন সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছেন,তাই জনপ্রিয়তা যাচাই করে দেখবেন। তাঁর বাবা মানিক চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা। তিনি বাহুবল উপজেলার কয়েকবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। ‘মহান আল্লাহ সহায় থাকলে অবশ্যই সাধারণ মানুষের ভালোবাসা এবং আমি বিপুল ভোটের মধ্য দিয়ে বিজয়ী হতে পারবো।

হবিগঞ্জ-১ আসনের সর্বসাধারণ ভোটের মাধ্যমে তাদের ভালোবাসার প্রতিদান দেবেন বলেই আমি বিশ্বাস করি।’ ইতোমধ্যেই এডভোকেট আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরীর পক্ষে আওয়ামী লীগের মূলধারার নেতাকর্মীরা গণসংযোগ শুরু করেছেন এবং সাধারণ ভোটাররাও তাকেই সমর্থন দিচ্ছেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে কেয়া চৌধুরী বিপুল কর্মী-সমর্থক ও শতাধিক মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে গতকাল বুধবার (২৯ নভেম্বর) নবীগঞ্জ ও বাহুবলে নির্বাচনী শোডাউন করেছেন। উল্লেখ্য যে,কেয়া চৌধুরী ২০১২ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়লাভ করেন।

তিনি ব্যক্তিজীবনে একজন আইনজীবী। হবিগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগ থেকে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ডা. মুশফিক হোসেন চৌধুরীকে আ:লীগের দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী,৩০ নভেম্বর মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। মনোনয়নপত্র বাছাই হবে ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্দ হবে। আর প্রচার শেষ করতে হবে ভোটের ৪৮ ঘণ্টা আগে। আর আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ হবে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *