সিলেটের হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার মিরপুর বাজারে অবরোধের সমর্থনে আসা বিএনপির কর্মীদের সাথে পুলিশ-আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) আনুমানিক বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে বাহুবল মডেল থানার পুলিশ দেড়শ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে। সংঘর্ষে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় দলের অন্তত ৩০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে আশঙ্কা জনক অবস্থায় শাহ আলম নামে পুলিশের এক কনস্টেবলকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
জানা যায়,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাহুবলের মিরপুর বাজারে বিএনপির নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং শুরু করে। এসময় শান্তি সমাবেশে পাহারায় থাকা আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বাকবিতন্ডা হয়।
এক পর্যায়ে উভয় দলের নেতাকর্মীরা লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ দেড়শ রাউন্ড টিয়ারশেল ও ফাঁকা গুলি নিক্ষেপ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সংঘর্ষে আহতদের বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন বেসরকারি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে বাহুবল মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মশিউর রহমান জানান,বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ইতোমধ্যে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ৩ বিএনপি নেতাকে আটক করেছে। ওসি বলেন,সাধারণ মানুষের জানমাল রক্ষায় পুলিশ তৎপর রয়েছে।
গুরুতর আহত পুলিশ সদস্য শাহ আলমকে (২৫) প্রথমে বাহুবল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং পরে হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসকেরা তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠান। অন্য আহত ব্যক্তিরা হবিগঞ্জ ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতাল ও বাহুবল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। বাহুবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই বলেন,বিএনপির নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা চালায়।
এমন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেসময় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা পুলিশকে সহযোগিতা করেন,তবে ভারি ইটের আঘাতে আমি আহত হয়ে বাসায় চিকিৎসা নিচ্ছি।