টুঙ্গিপাড়ঃ
আজ সকাল থেকে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ সোলায়মান বিশ্বাস এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকতা মোঃ নাকিব হোসেন তরফদার সুপার ঘূর্নিঝড় আম্পান আঘাত আনার পরবর্তীকালীন সময়ে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।
সুপার ঘূর্নিঝড় আম্পান আসার আগেই উপজেলা থেকে প্রতিটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যানদের সতর্ক করা হয় এবং সকল ইউনিয়নে মাকিং করা হয়।
গতকাল সারাদিন বৃষ্টি থাকলেও বতাসের বেগ কম ছিল। দিন বাড়ার সাথে সাথে বাতাসের বেগও বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকে বতাসের বেগ আরো বেশী হতে থাকে।
পাটগাতী ইউনিয়নের কাকইবুনিয়া গ্রামে লেবুতলা ব্রিজ এর অল্প কিছুদূরে মধুমতি নদীর পানির চাপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের বেরিবাধের রাস্তার নিচে বড় ধরনের ছিদ্র হয়ে গ্রামরে ভিতরে পানি ডুকে যায় এবং বড় ধরনের ছিদ্র যায়গাটি বিপদজনক, যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে।
উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এ তথ্য দিলে সেখানে সরজমিনে উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপস্থিত হন এবং তাতক্ষনিক ব্যবস্থা নিবার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। এর আগে এলাকাবাসী খড় কুটা দিয়ে সেটা বন্ধ করবার চেষ্টা করেন।
মধুখালী এবং করফা গ্রামে বন্যার পানি ঢুকে গ্রামের মানুষ পানির মধ্যে বসবাস করছে। গ্রামের মোট ৬/৭ শত পরিবার পানি বন্ধি অবস্থায় আছে। উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মধুখালী এবং করফা গ্রামে যেয়ে সেখানকার মানুষের সাথে কথা বলেন। বাড়ী ঘর পানিতে ডুবা সহ সেখানকার প্রায় ৫০টি মাছের এবং মুরগীর খামার পানিতে তলিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সেই সব পরিবারকে পরিবার পরিচিত কার্ড দেন। উপজেলা চেয়ারম্যান এবং উপজেলা নির্বার্হী কর্মকর্তা সাধারণ মানুষদের এটা বলেন উপজেলা পরিষদ সব সময় সাধারণ মানুষের পাশে আছে যে কোন সমস্যায়।