মোঃহাফিজুর হাওলাদার, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো গানের স্রষ্টা তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক সাম্যবাদী কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মোংলায় ২১ জুন রবিবার দিনব্যাপী শারীরিক দূরত্ব এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও সামাজিক সংগঠনের আয়োজনে নানা কর্মসুচি পালিত হয়েছে।
রবিবার সকাল ৯ টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট মোংলা, রুদ্র স্মৃতি সংসদ, মোংলা সাহিত্য পরিষদ, অন্তর বাজাও, আওয়ামীলীগ-, সিপিবি-ছাত্র ইউনিয়নসহ বিভিন্ন সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মিঠেখালি কবির সমাধিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পন করা হয়। বিকেল ৩টায় সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের মোংলাস্থ অফিসে স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। স্মরণানুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জোটের সভাপতি সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাংবাদিক মোঃ নূর আলম শেখ। স্মরণানুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন প্রভাষক মাহবুবুর রহামন, প্রভাষক মনোজ কান্তি বিশ্বাস, আওয়ামীলীগ নেতা কাজী গোলাম হোসেন বাবলু,সাংবাদিক মোঃএরশাদ হোসেন রনি, মোংলা সাহিত্য পরিষদের মোঃ মনির হোসেন, সিপিবি নেতা কমরেড নাজমুল হক প্রমূখ।
এছাড়া রুদ্র স্মৃতি সংসদ, রবিবার বিকেলে কবির গ্রামের বাড়ি মিঠেখালিতে মিলাদ মাহফিল এবং দোয়ার আযোজন করেছে। এসময় উপস্থিত ছিলেন রুদ্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ বিল্লাল হোসেন, ইউপি সদস্য মোঃ আবুল হোসেন, সিপিবি নেতা নাজমুল হক, যুব ইউনিয়ন নেতা মাহরুফ বিল্লাহ, ছত্তার ইজারদার, মোঃ ইমরান হোসেন খাঁন, আজিজ মোড়ল, লিটন ইজারদার প্রমূখ। করোনাকালীন দুর্যোগের কথা মাথায় রেখে এবার শারিরীক দূরত্ব বজায় রেখে সীমিত পরিসরে এসকল কর্মসুচি পালিত হয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা বলেন অকাল প্রয়াত এই কবি যাবতীয় অসাম্য, শোষণ ও ধর্মান্ধতার বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন।
একই সঙ্গে তার কাব্যের আরেক প্রান্তর জুড়ে রয়েছে স্বপ্ন, প্রেম ও সুন্দরের মগ্নতা। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের দীপ্র হাতিয়ার। সাম্যবাদী সমাজ প্রতিষ্ঠা মাধ্যমে কবি রুদ্র’র স্বপ্ন বাস্তবায়নে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। উল্ল্যেখ্য বাংলাদেশের কবিতায় অবিসস্মরণীয় এই কবির শিল্পমগ্ন উচ্চারণ তাকে দিয়েছে সত্তরের অন্যতম কবি-স্বীকৃতি। ১৯৯১ সালের ২১ জুন মাত্র ৩৫ বছর বয়সে তিনি মারা যান।