মানিক গাইন, বিশেষ প্রতিনিধিঃ নদীর এপার ভাঙে ওপার গড়ে, এইতো নদীর খেলা। নদীর ভাঙা গড়ার খেলা আর ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের দুঃখ দেখে মরমী শিল্পীরা এই গানটি গেয়েছিলেন। নদী ভাঙ্গন বাংলাদেশের একটি পরিচিত শব্দ। আর এবার শুনাবো জাতির জনকের স্মৃতি ধন্য টুঙ্গিপাড়ায় নদী ভাঙ্গনে পড়া মানুষদের কথা। গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলার ডুমুরিয়া ইউনিয়নের চিতলিয়া ও সড়াবাড়ি গ্রামের পাশ দিয়ে প্রবহমান মধুমতি নদীর ভাঙ্গনে দির্ঘদিন যাবৎ একমাত্র চলাচলের রাস্তা ধ্বংশে হয়ে পড়েছিল। এছাড়া অত্র এলাকার মানুষের উপজেলার সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার এটি একটি অন্যতম মাধ্যম।
এ রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন শিক্ষার্থী, স্থানীয় লোকজন সহ পার্শবর্তী এলাকার হাজারো মানুষ প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়েই চলাচল করেন। পাটগাতী থেকে বরইভিটা গামী ছোট ট্রলার টেম্পু ও অটোরিকশা চলাচল করত। কিন্তু নদী ভাঙ্গনের কবলে পরে রাস্তায় ফাটল দেখা দিলে আতঙ্কে দিন কাটতো অত্র এলাকার জনগনের। উপজেলার লেবুতলা ব্রীজের পাশ দিয়ে নেমে বরইভিটা পর্যন্ত এ রাস্তাটির পরিধি।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, নদীর ভাঙ্গন থেকে গ্রাম দুটি রক্ষার জন্য প্রায়ই স্থানীয় জনগণের সহায়তায় বালির বস্তা ও নদীর পাড় দিয়ে গাছ,বাঁশ বসিয়ে চিতলিয়া ও সড়াবাড়ি পর্যন্ত মেরামত করা হয়েছিল। কিন্তু নদীর স্রোত বেড়ে যাওয়ায় স্থানীয়দের দেওয়া বালির বস্তা ধ্বসে গিয়ে রাস্তাটিতে ফাটল দেখা দেয়। যানবাহ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে চরম দুর্ভোগে পড়ে এলাকাবাসী। বিষয়টি উপজেলা প্রসাশনের নজরে পড়লে স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় কংক্রিটের বল্ক ও উন্নতমানের বালুর বস্তা দিয়ে রাস্তাটি মেরামত করা হয়। ফলে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে জনজীবন।
আনন্দিত এলাকাবাসী। তবে কিছু লোকের চেহারা জুড়ে আনন্দের ছাপ দেখা যায়নি। শতভাগ আনন্দের অপেক্ষায় অনেকেই। স্থানীয় বিশিষ্ঠ জনেরা শতবর্ষের প্রতিনিধির সাথে কথ বলেন, এসময় তারা যে বিষয় তুলে ধরেন সেটি হলো যে, কিছু জায়গা ঠিক হলেও অন্য দিকে নদী ভাঙ্গনে রাস্তা ভেঙ্গে গেছে। যদি অতিশীঘ্রই রাস্তা সংস্কার করা না যায় তাহলে ঘরবাড়ি ও জমি সহ অনেক কিছুই নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে। বিলিন হতে পারে অনেক কৃষি জমি। দুর্ভোগে পড়বে শত শত পরিবার। তাই এটি দ্রুত পূনঃ সংস্কার করার ও ভাঙ্গন ঠেকাতে কতৃপক্ষকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড টুঙ্গিপাড়া শাখার কর্মরতা বলেন, এলাকাবাসীর দুঃখ লাঘবের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা হবে।