র‍্যাবের অভিযানে রামচন্দ্রপুর গ্রামে থেকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্য সহ আটক ২

পবিত্র রমজান মাসেও যেন থেমে নেই মাদকের রমরমা কারবারী। যেখানে বাজারে দ্রব্যমূল্যে ক্রমাগত ঊর্ধ্বগামী সেখানেও দেদারসে চলছে মাদকের কেনা বেচা। গত ১৬ এপ্রিল রোজ রবিবার ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের, মোছাঃ নার্গিস খাতুন (৩৪)। পিতাঃ বানু খা এবং আল মামুন (২১), পিতাঃ হায়দার আলী বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় দ্রব্য, ইয়াবা ও হেরোইন সহ র‍্যাবের হাতে আটক হন।

এ ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চাইলে পুলিশ পরিদর্শক ইমরান খান (বিপি-৮৩১০১৩৩৯৪৫, সিপিসি-১, র‍্যাব ১২ কুষ্টিয়া) জানান, তাহারা টিম সহ ১৬-০৪-২২ ইং তারিখে দুপুর ২ ঘটিকার সময় নিয়মিত টহলে বের হয়ে কুষ্টিয়া ইবি থানাধীন মধুপুর বাজার এলাকায় অবস্থানকালে আনুমানিক সন্ধ্যা ৬ঃ৪০ ঘটিকার সময় গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, ঝিনাইদহ জেলার শৈলকূপা থানাধীন রামচন্দ্রপুর (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের জৈনক বানু খা (৬০) এর বাড়িতে দুইজন মাদক ব্যবসায়ী বিপুল পরিমাণ নেশাজাতীয় ইয়াবা ট্যাবলেট ও হেরোইন নিজ নিজ হেফাজতে রেখে বিক্রয়ের জন্য অবস্থান করছে।

উপরোক্ত তথ্যের ভিত্তিতে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কে অবহিত করে ঘটনার সত্যতা যাচাই ও আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্মকর্তা ইমরান খান তার ফোর্স সহ সেখানে গিয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনাস্থল ঘেরাও করেন। এবং সেখানে উপস্থিত সাক্ষীগণের সামনে ১নং আসামী মোছাঃ নার্গিস খাতুন (৩৪) এর দেহ নারী সিপাহী মোছাঃ নাছিমা খাতুনের সহায়তায় তল্লাশি করে ৩৫ গ্রাম হেরোইন, যার বাজার মূল্য আনুমানিক ১,০৫,০০০ টাকা ও ২টি প্যাকেট থেকে ১০০ পিস করে মোট ২০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন যার বাজার দর আনুমানিক ১,০০,০০০ টাকা। এবং ২ নং আসামী আল মামুনের দেহ তল্লাশি করে ২ টি প্যাকেট উদ্ধার করেন। যার একটি তে ১০০ পিস ও অপরটিতে ৭৫ পিস অর্থাৎ মোট ১৭৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেন। যার বাজার দর আনুমানিক ৮৭,৫০০ টাকা।

এই অপারেশন নেতৃত্বদানকারী পরিদর্শক ইমরান খান আরো জানান, সেখানে উপস্থিত সাক্ষীগণ এবং স্থানীয় লোকদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় ১ নং আসামী দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসায়ের সাথে জড়িত এবং দেশের বিভিন্ন প্রান্ত হতে মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে তা নিজ জেলা সহ আশেপাশের জেলাগুলোতে খুচরা ও পাইকারি হিসেবে তিনি সাপ্লাই দিয়ে আসছিলেন। এ ব্যাপারে গ্রেফতারকৃত আসামীদের জিজ্ঞাসা করলে তারা আরো স্বীকার করে যে, তারা সম্পর্কে পরস্পর খালা-ভাগ্নে। ১ নং আসামীর পৃষ্ঠপোষকতা ২ নং আসামী মাদকদ্রব্য গুলো বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করতো।

এ ঘটনায় পুলিশ পরিদর্শক ইমরান খান নিজে বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৮ এর ৩৬(১) সারণির ১০(ক)/৮(গ)/৪১ ধারায় অপরাধ উল্লেখ করে শৈলকূপা থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর একটি মামলা দায়ের করেন এবং গ্রেফতারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে উপরোক্ত বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *