মোঃহাফিজুর হাওলাদার, বাগেরহাট জেলা প্রতিনিধিঃ করোনা মোকাবেলায় যে যেখানে আছেন সেখানেই কোরবানির ঈদ উদযাপন করুন। আত্মীয়-স্বজনদের বলে দিতে হবে ঈদে ঘোরাঘুরি করা যাবে না। নিজেরা ভালো থাকতে হলে আড্ডা দেয়ার দরকার নেই। প্রয়োজনীয় বাজার করে ঘরেই অবস্থান করুন। রোজার ঈদ বাড়ীতে করতে আসায় করোনা সংক্রম বেড়েছে।
সচেতনতা ছাড়া করোনা সংক্রমণ রোধ করা যাবে না। ২৬ জুন শুক্রবার সকালে মোংলা উপজেলা পরিষদ চত্বরে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার খাদ্য সহায়তা এবং নগদ অর্থ বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় খুলনা সিটি কপোর্রেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক একা বলেন। শুক্রবার সকাল ১০টায় শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্যবিধি মেনে উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত নগদ অর্থসহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের চেক ও ডিও হস্তান্তর অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার মোঃ রাহাত মান্নান। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ ইকবাল হোসেন, সহকারি কমিশনার ( ভূমি ) নয়নকুমার রাজবংশী, অফিসার ইনচার্জ মোঃ ইকবাল বাহার চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ জীবিতেষ বিশ্বাস এবং উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ নাহিদুজ্জামান। এসময় উপস্থিত ছিলেন চাঁদপাই ইউপি চেয়ারম্যান মোল্লা মোঃ তারিকুল ইসলাম, মিঠাখালী ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ইস্রাফিল হোসেন, সুন্দরবন ইউপি চেয়ারম্যান শেখ কবির হোসেন, পৌর যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ আল মামুন প্রমূখ। খুলনা সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক মোংলা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন কতিপয় দূর্বৃত্ত শ্রমিক নেতা মোংলা বন্দরকে অস্থিতিশীল করতে চায়। তাদের ব্যাপারে আইন-শৃংখলা বাহিনীকে কঠোর এবং সতর্ক থাকতে হবে।
উল্ল্যেখ্য খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রান মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে ১০০ বান্ডিল ঢেউটিন, নগদ ৩ লাখ টাকা, ১২শো ৬০ পরিবারের মাঝে শিশু খাদ্য বিতরণ করেন। এছাড়া টিআর-কাবিখার মাধ্যমে রাস্তঘাট উন্নয়নকল্পে ৮৭ লাখ টাকা এবং ১৯৭ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য ছাড়া করা হয়। অন্যদিকে সিটি মেয়র ঐচ্ছিক তহবিলের ২০জনের প্রত্যেককে ৫হাজার টাকা এবং সমাজসেবা অফিসের ৫০জনকে বয়স্ক ভাতা প্রদান করেন।##