মনিরামপুরে স্বাধীনতার প্রায় ৫০ বছর পর এসে পিতা আঃ ছালাম কে মুক্তিযোদ্ধা দাবি করছেন কন্যা

যশোর জেলার মনিরামপুর উপজেলার শ্যামকুড় ইউনিয়নের বাসিন্দা মোঃ আয়ুব হোসেন এর স্ত্রী মোছাঃ খাদিজা পারভীন ঝরনা ও একই উপজেলার চালুয়াহাটি গ্রামের রত্নেশ্বরপুর গ্রামের মরহুম মোঃ আব্দুস সালাম বিশ্বাসের দাবী আঃ ছালাম মুক্তিযোদ্ধা। ১৯৭১ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকে সাড়া দিয়ে দেশ স্বাধীন করার জন্যে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করেন তিনি।
আঃ ছালাম স্থানীয় যুবকদের মুক্তিযোদ্ধায় অংশগ্রহন করার জন্যে উদ্ভুদ্ধ করতেন এবং বুদ্ধি ও পরামর্শ দিতেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা হওয়ার পর ১৯৭১ সালের আগষ্ট মাসের মধ্যোভাগে এবং বাংলা ভাদ্র মাসের মাঝামাঝি সময়ে রাজাকার ও পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী শহীদ জামাল,শহীদ মাষ্টার জামাল উদ্দীন ও শহীদ আব্দুস সালাম বিশ্বাসকে ধরে নিয়ে নেংগুড়াহাট রাজকার ক্যাম্পে, রাজগঞ্জ রাজাকার ক্যাম্পে ও মনিরামপুর রাজাকার ক্যাম্পে রেখে অমানুসিক নির্যাতন চালায়।
০৭ দিন নির্যাতন চালানোরপর আব্দুস সালাম বিশ্বাসকে মনিরামপুর বাঁধাঘাট ব্রীজের উপর গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করে। তার ঘরবাড়ি,আসবাবপত্র ও যাবতীয় কাগজপত্র আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে পুড়িয়ে ভষ্ম করে দেয়। দুইদিন পরে লাশ কুড়িয়ে এনে দাফন করা হয়। এই দৃশ্য দেখে আমার দাদা এনায়েতুল্ল্যা বিশ্বাস ও দাদি বড় বিবি আসুস্থ হয়ে মারা যান। আমার মা মোছাঃ জাহানারা খাতুন আমাকে নিয়ে নানার বাড়িতে পালিয়ে প্রানে বেচে যান
এরপর দেশ স্বাধীন হয়েছে। কিন্তু আমার পিতার শহীদ আব্দুস সালাম বিশ্বাসের নাম এখনও শহীদ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়নি কথা গুলি বলছিলেন আঃ ছালামের মেয়ে মোছাঃ খাদিজা পারভীন ঝরনা। বিশেষ এক সাক্ষাৎকারে ঝরনা বলেন আমার পিতা বাংলাদেশের স্বাধীনতার অবদান রাখার জন্যে আমি ও আমার পরিবার আমাদের প্রাপ্ত সম্মান চাই। এ ব্যাপারে মনিরামপুর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রাক্তন কমান্ডার আলাউদ্দীন, ডেপুটি কমান্ডার (প্রাক্তন)গাজী আব্দুল হামিদ, সহকারি কমান্ডার (প্রাক্তন) মোঃ ইকবল হোসেন ও চালুয়াহাটি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সংশ্লিষ্ট ০৮ নং ওয়ার্ড ইউপি সদস্য জনাব মোঃ মফিজুর রহমান এর তদন্ত মোতাবেক তথ্যটি সত্যতা জেনে প্রত্যায়ন প্রদান করেন।
এ ব্যাপারে প্রতাক্ষদর্শী হিসেবে বিবৃতি প্রদান করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা নফর আলী গাজী, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম খান, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফকির জামাল খাঁ, এবং বীরমুক্তিযোদ্ধা মমিন উদ্দিন।


Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *