মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার হিসেবে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরের ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত আরো ৪০ টি ঘর উদ্বোধন হয়েছে। ‘আশ্রয়ণের অধিকার- শেখ হাসিনার উপহার’ স্লোগানে আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ৪র্থ পর্যায়ে নির্মাণ করা হয়েছে এসব সেমিপাকা ঘর। বুধবার (২২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুকসুদপুর উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা ঘোষণা করেন।

এর আগে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের ৫শ ৫৩ টি পরিবারসহ উপজেলার মোট ৬শ ৩৩ টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে ঘর পেয়েছে। ফলে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলার তালিকায় যোগ হয়েছে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে উপজেলা।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পরেই দুই শতাংশ জমির দলিলসহ এই ঘরগুলো উপকারভোগীদের মাঝে আনুষ্ঠানিক ভাবে হস্তাহন্তর করেছে মুকসুদপুর উপজেলা প্রশাসন।

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এস,এম ইমাম রাজী টুলু জানান পুঙ্খানুপুঙ্খনুভাবে যাচাই-বাচাই করে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের তালিকা করে তাদের নামে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের একটি সেমিপাকা ঘর ও দুই শতক জমি রেজিস্ট্রি করে দেয়া হয়েছে।

জমিসহ আশ্রয়ণ প্রকল্পে নির্মিত সরকারি বাসগৃহ পেয়ে হাসি ফুটেছে অসহায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে। বন্দোবস্তকৃত খাঁস জমির কবুলিয়তসহ সরকারি খরচে নির্মিত সেমিপাকা বাসগৃহ পেয়ে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন পুরণের আনন্দে আত্মহারা হয়ে পড়েছে সুবিধাভোগী ৬৩৩ পরিবার। ঘর প্রাপ্তরা প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ।

আ: জলিল (৭২) এক বৃদ্ধ (পূর্বে ভিক্ষা করতেন) বলেন আমি একজন অসহায় ও হতদরিদ্র ভিক্ষুক ছিলাম। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহার দেওয়া ঘর ও আর্থিক সহায়তা পেয়ে এখন আমি স্বচ্ছল আছি। বাংলাদেশ কে টিকিয়ে রাখতে হলে আওয়ামীলীগ সরকার থাকা প্রয়োজন। অন্য সরকারের আমলে চাউল ৬ টাকা কেজি থাকলেও মানুষ খেতে পারতো না । কিন্তু বর্তমানে চাউলের দাম বেশি হলেও মানুষ কোথাও না খেয়ে নেই।

ঘর পাওয়া ভূমিহীনরা জানান ঘরের সঙ্গে জমির কাগজপত্রের মালিকানা পেয়ে আমরা এখন ভীষণ খুশি। বিনামূল্যে এসব ঘর পেয়ে আনন্দে আপ্লুত সুবিধাভোগীরা। তাদের অনেকেরই কাছে এরকম একটি ঘরের মালিক হওয়া ছিল স্বপ্নের মতো। অবশেষে তাদের এই স্বপ্ন পূরণ করেছেন মুজিব কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

রাশি বেগম (৬১) বলেন আগে দিন কাটতো না খেয়ে। ঠিকানা ছিল না স্থান ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য আজ আমরা শান্তিতে নিয়ে বসবাস করছি। আমি প্রধানমন্ত্রীর জন্য দোয়া করি।স্বামী পরিত্যক্তা রেক্সোনা বেগম (৩৩) বলেন আমি পথে পথে ঘুরতাম। একটি শিশু সন্তান নিয়ে আমার দাঁড়ানোর ঠাঁই ছিলনা । আমি একটি ঘর পেয়ে এখন বেশ সুখেই আছি।

 

পরের ঘরে থাকার বেদনা ভুলে নিজের জায়গায় থাকতে পেরে আনন্দে আত্মহারা পরিবার গুলো প্রধানমন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানিয়েছেন।

İstifadəçi rəyləri Pin Up casino seyrək göstərilən xidmətlərin keyfiyyətini təsdiqləyir. azərbaycan pinup Qeydiyyat zamanı valyutanı seçə bilərsiniz, bundan sonra onu dəyişdirmək mümkün xeyr. pin-up Bunun üçün rəsmi internet saytına iç olub qeydiyyatdan keçməlisiniz. pin up Además, es de muy alto impacto y de una sadeed inigualable. ola bilərsiniz