বিশ্বকাপ মঞ্চে বাংলার বাঘিনীদের প্রথম জয়।

গৌরবের ৫০এ এসে স্বাধীনতার সেই মাসে নতুন প্রেক্ষাপটে সেই পুরোনো আমেজের সাক্ষী এবার বাংলার বাঘিনীরা ওরা নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপে প্রথম জয় ছিনিয়ে নিয়েছে।জয়টা একটু অন্যরকম হবেই কারন প্রতিপক্ষ যে পাকিস্তান।

ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা তবে বাংলাদেশ পাকিস্তান ম্যাচে খানিকটা হলেও যে একটু বাড়তি উত্তেজনা থাকে তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এবার বাঘিনীদের জয়ের গল্পটা বলা যাক। হ্যামিল্টনে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে টিম টাইগার্স। শুরুটা ভালোই করেন দুই ওপেনার শামিমা আর সুপ্তা।

তবে শামিমা আউট হন দলীয় ৩৭ রানে কিন্তু সুপ্তা আর ফারজানা পথ দেখান বড় রানের। ব্যক্তিগত ৯ম অর্ধশতক তুলে সম্পন্ন করেন ফারজানা

তার সাথে দলের রান বাড়াতে দূর্দান্ত অবদান রাখেন শারমিন সুপ্তা আর আর অধিনায়ক নিগার সুলতানা। ফারজানার পর এই দুজনের সামনেও ছিল অর্ধশতকের হাতছানি, তবে কেউ সেই লক্ষ্যে পৌছাতে পারেননি।

দলীয় প্রচেষ্টায় ৫০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে বাংলাদেশের ঝুলিতে জমা হয় ২৩৪ রান।

জবাব দিতে নেমে দুর্দান্ত শুরু করেন দুই পাক ওপেনার সিদরা আমিন ও নাহিদা খান।  দুজন গড়েন ৯১ রানের জুটি। পরে ৪৩ রানে রুমানার বলে আউট হন নাহিদা। অধিনায়ক বিসমাহ মারুফ রানের চাকা ঘুরাচ্ছিলেন কিন্তু বিসমা  ৩১ রানে জাহানারার স্বীকার হলেও সেঞ্চুরির পথে হাটতে থাকা সিদরা আমিন দলকে জয়ের পথেই রেখেছিলেন।

বাংলার মেয়েদের হুঙ্কারের পূর্বে পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ১৮২-২।

তবে সেখানেই লাগাতার আঘাত হেনে পাশার দান উলটে দেন ফাহিমা খাতুন। তার লেগস্পিন ঘুর্ণিতে দিশেহারা পাকিস্তান ১৮২ থেকে ১৮৭ রান নেওয়ার পথেই হারায় ৫ উইকেট। বাকী সহজ পথটা সহজেই পার হয় বাংলার বাঘিনীদের জন্য। এবং তৈরি হয় এক নতুন ইতিহাস।

হয়তো এই  জয়টা নিঃস্বন্দেহেই বাংলাদেশ ক্রিকেট ইতিহাসে স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে।

এই জয়ের আলাদা বিশেষত্বও রয়েছে,  ১৯৯৯ সালে বাংলার বাঘেরাও যে নিজেদের প্রথম বিশ্বকাপ জয় ছিনিয়ে এনেছিল এই পাকিস্তানেরই বিপক্ষে সেদিন নায়ক ছিলেন খালেদ মাহমুদ সুজনরা আর ২৩ বছর পর একই দিনে নতুনের নায়িকা ফারজানা, ফাহিমারা। হয়ত এভাবেই এগিয়ে যাবে বাংলার ক্রিকেটাঙ্গন। হয়ত এভাবেই লেখা হবে নতুন ইতিহাস।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *