রণিকা বসু(মাধুরী) খুলনা বিভাগী প্রতিনিধঃ বর্তমান দেশের পরিস্থিতি খুবই খারাপের দিকে যাচ্ছে৷দিন দিন যেন মহামারী করোনা ভাইরাসের অবস্থা ভায়াবহ আকার ধারন করে চলছে৷এমন অবস্থা বাগেরহাটে ও থেমে নেই করোনার থাবা চলছে যেন ঘোড়ার দৌড়ের মত করে৷এখন পর্যন্ত বাগেরহাটে চিকিৎসক, ব্যাংকারসহ আরও ২২জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
শনিবার (২৭ জুন) খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় এদের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। এরমধ্যে খুলনার ল্যাবে একজনের এবং যশোরের ল্যাবে ২১জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়। গত ২৪ ও ২৫ জুন এই সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পিসিআর ল্যাবে পাঠায় স্বাস্থ্য বিভাগ। রবিবার (২৮ জুন) দুপুরে স্ব স্ব এলাকার আক্রান্তদের বাড়ি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। এই নিয়ে বাগেরহাট জেলায় মোট ১৮৭ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হল।
এরমধ্যে ৬৬ জন সুস্থ হয়েছেন। আক্রান্তদের বাড়ি বাগেরহাটের বিভিন্ন উপজেলায়।বাগেরহাটের সিভিল সার্জন কার্যালয়ের চিকিৎসা কর্মকর্তা ডা. সুব্রত কুমার দাস বলেন, শনিবারে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং যশোরের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পিসিআর ল্যাবে নমুনা পরীক্ষায় চিকিৎসক, ব্যাংকারসহ আরও ২২ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হয়েছে। গত ২৪ ও ২৫ জুন সন্দেহভাজন এই রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য ল্যাবে পাঠানো হয়।
রবিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত স্ব স্ব এলাকার আক্রান্তদের বাড়ি অবরুদ্ধ করে লাল পতাকা টাঙিয়ে দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। আক্রান্তদের শরীরে করোনার উপসর্গ না থাকায় তাদের বাড়িতে রেখে চিকিৎসা দিচ্ছে চিকিৎসকরা। আক্রান্তরা সবাই সুস্থ স্বাভাবিক রয়েছেন। এই নিয়ে বাগেরহাট জেলায় শিশু ও নারীসহ মোট ১৮৭ জন শরীরে করোনা ভাইরাস সনাক্ত হল। এরমধ্যে ৬৬ জন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়েছেন।এই পরিস্থিতিতে জনসাধারনকে আরো সচেতন ও সামাজিক দুরত্ব বজায় রেখে মাক্স ব্যবহার কর চলতে বলা হচ্ছে৷