বরিশাল নগরীর নাজিরপুলে নব-জাগরণ ক্লাবসহ বিভিন্ন এলাকায় আড়ালে ও প্রকাশ্যে যু্বসমাজ ধ্বংসকারী ভয়াবহ মাদকদ্রব্য আমদানি ও বিক্রি বন্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করেছে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপরে নগরীর নাজিরপুলে এ কর্মসূচি হয়। উক্ত কর্মসূচিতে বিএম কলেজ,বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট,সরকারি বরিশাল কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শতাধিক শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সরকারি বিএম কলেজের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তামিম বলেন,বিগত স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সময়কাল থেকে বরিশাল নগরীর নাজিরের পুল সংলগ্ন এই নব-জাগরন ক্লাবের ভেতরে প্রভাবশালী কিছু রাজনৈতিক নেতা ও তাদের ছএ-ছায়ায় থাকা অসাধু ব্যক্তিরা জুয়াসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক বাণিজ্য করে আসছিলো। আপনারা সকলেই অবগত আছেন যে,গত ০৫ আগস্ট সর্বস্তরের ছাএ-জনতার বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে একদফা দাবির মধ্যে স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পরপরই সেই প্রভাবশালী নেতারা পালিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে খান লিটু ও সাজুসহ বেশ কয়েকজন ক্লাবটিকে পূনরায় নিয়ন্ত্রণে নিয়ে পূর্বের মতো আবার মাদক কারবার শুরু করেছে। অতএব অবিলম্বে এই ক্লাবসহ বিভিন্ন স্পটে মাদক বিক্রি বন্ধ না হলে মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে আরো কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা।
আমরা এখানে বিএম কলেজ,বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট, বরিশাল কলেজেসহ নগরীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এই মাদকের আস্তানাগুলো চিহ্নিত করে মাদক বানিজ্য বন্ধ করাসহ সব ধরনের অবৈধ জুয়া খেলা বন্ধ করার দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছি।
এছাড়া ঐ কর্মসূচিতে উপস্থিত বরিশাল পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট’র শিক্ষার্থী বনি ইসরাইল (২১) বলেন, গত ০৭ সেপ্টেম্বর আনুমানিক রাত সারে নয়টার দিকে এই ক্লাবের অন্যতম মাদক কারবারি সাজু প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করার সময় তাকে বাধা দিলে আমার সাথে থাকা কয়েকজন সহপাঠীদের উপর খান লিটুর নেতৃত্বে ক্লাবের ভিতরে জুয়া খেলতে থাকা অজ্ঞাত ১০-১২ জনের মতো ব্যক্তিরা অতর্কিত হামলা চালায় এবং আমাদের ঠেলতে ঠেলতে ক্লাবের ভিতর ঢুকিয়ে দরজা বন্ধ করে লাঠি-রড দিয়ে বেধড়ক মারধর করে। ঐসময় আমার সাথে থাকা তামিম বিশ্বাস (১৯) নামের সহপাঠীর মাথায় রডের আঘাত লাগায় গুরুত্বর জখম হয়। অবশেষে আমাদের উপর হামলা ও ক্লাবে আটকিয়ে মারধরের সংবাদ আমার বড় ভাই বরিশাল মহানগর ছাএদল সহ-সভাপতি আরিফুর রহমান মিঠুর কাছে পৌছলে সে তার বন্ধু বান্ধবদের সাথে নিয়ে দ্রুত সময়ের মধ্যে এসে আমাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন এবং চিকিৎসার জন্য দ্রুত গতিতে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন। পরবর্তীতে আমরা বরিশাল কাউনিয়া থানায় অফিসার ইনচার্জ বরারব এ বিষয়ে একটি মামলা দ্বায়ের করার জন্য লিখিত অভিযোগ করাসহ দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর শাস্তির আবেদন জানাই । অতঃপর আজ আমরা শিক্ষার্থীরা সবাই এক হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছি বরিশালে কোন মাদকের আস্তানা রাখবো না,যদি মাদকের আস্তানা থাকে কিংবা গড়ে ওঠে তাহলে আমরা সেটা প্রতিহত করতে কঠোর অবস্থানে নামতে বাধ্য হবো।