গ্রেফতার ৩ রক্তস্নাত ও অশ্রুসিত বাংলাদেশে ধর্ষণের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েই চলছে। বিচারের দীর্ঘসূত্রতা.অভিযুক্ত ব্যাক্তিদের সহজেই জামিন প্রাপ্তি ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি না হওয়ায় ধর্ষণের ন্যায় জঘন্য অপরাধ ঘটেই চলছে। ইদানিং নিকট আত্মীয় এবং প্রতিবেশীরা ও ধর্ষণ করছে। ধর্ষণের পরও হত্যা করা হচ্ছে। অভিভাবকগন তাদের সন্তানের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ, উৎকন্ঠার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তেমনই একটি জঘন্যতম ঘটনা ঘটেছে বরিশালে।
বরিশালের নগরীর এক আবাসিক হোটেলে গণধর্ষনের শিকার হয়েছে গৌরনদী সরকারি কলেজের এক ছাত্রী। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী মডেল থানা পুলিশ। শনিবার (০৮ আগস্ট) গভীররাতে নগরীর সাগরদী ব্রিজ এলাকার “হোটেল মুন”এ ঘটে এ ঘটনা। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, সজল কর্মকার (২৫), মোঃ মিজানুর রহমান জাকির (৫৩), আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার (৫৫)।
প্রথম দুজন ধর্ষনের অভিযোগ এবং পরেরজন তাদের সহযোগীতা করার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন। বরিশাল কোতোয়ালি মডেল থানা ওসি নুরুল ইসলাম জানান, নির্যাতিতা নিজেই বাদী হয়ে ধর্ষনের অভিযোগে কোতোয়ালি থানায় মামলা দায়ের করেন। এ ব্যাপারে যথাযথ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, পিরোজপুরের ইন্দুরকানী এলাকার সজল কর্মকারের সাথে বরিশালের গৌরনদীর কলেজ ছাত্রী (মুসলিম)’র ৫ বছর ধরে প্রেম চলছিলো।
শনিবার বিয়ের কথা বলে ওই কলেজ ছাত্রীকে বরিশালে এনে হোটেল মুনে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষন করা হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। বিষয়টি টের পেয়ে হোটেলের অপর বোর্ডার মিজানুর রহমান জাকির হোটেল ম্যানেজার আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের সহায়তায় সজল কর্মকারকে রুম থেকে বের করে দেয়। এরপর ওই কলেজ ছাত্রীকে হোটেল ম্যানেজারের সহযোগীতায় বোর্ডার মিজানুর রহমান জাকির একাধিক বার ধর্ষন করেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। তিনি আরও জানান, কলেজ ছাত্রীর চিৎকার টের পেয়ে দুই ব্যক্তি ঘটনা টহল পুলিশকে জানালে, পুলিশ নির্যাতিতাকে উদ্ধার এবং ওই তিনজনকে গ্রেফতার করে। তাদেরকে রোববার (০৯ আগস্ট) বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হলে, আদালত জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।