বদলে গেল নাফ নদীর সীমান্ত পরিস্থিতি, সতর্ক বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নাফ নদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশের এলাকা আজ শনিবারও (১৭ ফেব্রুয়ারি) গুলি ও বোমার শব্দে কাঁপছে। সীমান্তের ওপার থেকে ভারী অস্ত্রের গুলির শব্দে বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ব্যাপক গোলাগুলির পর রাতভর শান্ত ছিল। এতে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এলেও সকালেই পরিস্থিতি বদলে যায়।

টেকনাফের দক্ষিণাংশের সেন্টমার্টিন ও শাহপরীর দ্বীপ এলাকার বাসিন্দারা বলেন, শুক্রবার রাতে তেমন কোনো গোলাগুলির শব্দ পাওয়া যায়নি। তবে আজ শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার পর থেকে সাড়ে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে মিয়ানমার সীমান্ত থেকে গোলাগুলির আওয়াজ শুনতে পান তারা। বিকট শব্দে মাঝেমধ্যে মাটি কেঁপে উঠেছে।

টেকনাফের সাবরাং ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আবদুস সালাম বলেন, নাফ নদীর পূর্ব ও দক্ষিণাংশে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য। যেসব স্থান থেকে গোলাগুলির আওয়াজ আসছে, সেখানে রাখাইন রাজ্যের মংডুর শহরের আশপাশের মেগিচং, কাদিরবিল, নুরুল্লাহপাড়া, মাংগালা, নল বন্ন্যা, ফাদংচা ও হাসুরাতা এলাকা অবস্থিত। এসব এলাকায় মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) কয়েকটি নিরাপত্তাচৌকি রয়েছে।

ইউপি সদস্য আবদুস সালাম আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত মিয়ানমারের মংডু শহরের আশপাশের প্রচুর গোলাগুলি শব্দ শোনা যায়। তবে রাতভর কোনো ধরনের শব্দ শোনা যায়নি। আজ শনিবার সকাল থেকে কিছুক্ষণ পরপর বিকট শব্দে মাটি কেঁপে ওঠে। সেই সঙ্গে গোলাগুলির শব্দ কানে ভেসে আসে। এ জন্য স্থানীয় লোকজন আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন।

এ বিষয়ে টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, হঠাৎ টেকনাফ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় বিকট শব্দ ও গোলাগুলি খবর পেয়েছেন তারা। মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে দুটি গ্রুপের মধ্যে থেমে থেমে কয়েক দিন ধরে টেকনাফ সীমান্তে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পাচ্ছেন সীমান্তে থাকা বিজিবির সদস্যরা। সীমান্তে বিজিবির সদস্যরা সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে। পাশাপাশি সীমান্ত এলাকায় বিজিবির টহল জোরদার করা হয়েছে।

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, এটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ সমস্যা। মিয়ানমারের সংঘাতময় পরিস্থিতির কারণে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল বাড়ানো হয়েছে। সীমান্তে বসবাসরত মানুষকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *