ফরিদপুরে আগামীকাল সোমবার শুরু হচ্ছে করোনা শনাক্ত পরীক্ষা। ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চতুর্থ তলায় করোনা পরীক্ষার জন্য পিসিআর (পলিমিয়ার্স চেইন রিঅ্যাকশন) যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছে।
সকাল নয়টা থেকে এ পরীক্ষা করা শুরু হবে। আপাতত ফরিদপুর সদরসহ বিভিন্ন উপজেলা থেকে প্রাপ্ত নমুনা পরীক্ষা করা হবে। পরে আশপাশের অন্য কয়েকটি জেলা তাদের সুবিধা অনুযায়ী এ ল্যাব থেকে করোনা শনাক্ত পরীক্ষা করাতে পারবে।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এ ল্যাবে করোনা পরীক্ষা করা হবে। প্রতিদিন ৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা সম্ভব হবে। আজ রোববার ঢাকা থেকে নমুনা পরীক্ষার জন্য এক হাজার কিট পাঠানো হয়েছে। ল্যাবের ব্যবস্থাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এস এম খবিরুল ইসলাম। এ ছাড়া ল্যাব পরিচালনার জন্য তিন সদস্যবিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির প্রধান হলেন কলেজের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক আশরাফুল আলম, প্যাথলজি বিভাগের প্রধান মো. ওয়াদুদ মিয়া এবং বায়োকেমিস্ট্রি বিভাগের প্রধান রেজাউল কাদের।
কমিটির ওই তিন সদস্য ছাড়াও এ ল্যাবের কাজে নিয়োজিত ৭ জন মেডিকেল টেকনোলজিস্টসহ (ল্যাব) মোট ১০ জনকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওএমসির চার সদস্যবিশিষ্ট একটি প্রশিক্ষণ দল এ প্রশিক্ষণ দেয়। প্রশিক্ষণদাতারা আগামী ১৪ দিন এ ল্যাবে অবস্থান করে কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন এবং তাৎক্ষণিক কোনো জটিলতার সৃষ্টি হলে, তা সমাধান করবেন।
ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ এস এম খবিরুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরের সিভিল সার্জন ও মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের মাধ্যমে প্রাপ্ত নমুনা এখানে শুরুতে পরীক্ষা করা হবে। পরে আশপাশের অন্যান্য জেলার নমুনাও পরীক্ষা করা হবে।
জেলা করোনা কমিটির সদস্যসচিব ফরিদপুরের সিভিল সার্জন মো. ছিদ্দীকুর রহমান জানান, প্রতিটি উপজেলা থেকে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রাপ্ত নামুনা পরীক্ষার জন্য দেওয়া হবে। আশপাশের অন্যান্য জেলার নমুনা স্ব স্ব জেলার সিভিল সার্জনের মাধ্যমে সরাসরি ল্যাবে গিয়ে জমা হবে। তিনি আরও জানান, প্রতিবেদন পাওয়ার জন্য ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি কন্ট্রোল রুম খোলা হবে। সেই কন্ট্রোল রুম কিংবা সরাসরি পরিচালকের মাধ্যমেও ফল জানা যাবে।