ফকিরহাটে নগদ টাকা দাবী করায় হাবিবুর নামের এক ব্যক্তি মুদি ব্যবসায়ীদের হাতে ধৃত


ফকিরহাট বাজারে ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরে চাকরীতে কর্মরত বিএম হাবিবুর রহমান নামের এক ব্যক্তি মুদি দোকানদারদের কাছে নগদ টাকা দাবী করলে তাকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঐ ব্যক্তিকে থানায় নিয়ে যায়। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ সে বিভিন্ন সময়ে ভয়ভীতি দিয়ে নগদদ টাকা দাবি করে । পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয় দোকানদারদের দাবী তিনি নিজেকে সহকারী কৃষি বিপণন কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে দোকারদারদের নিকট থেকে বিভিন্ন উপায়ে অর্থ আদায় করে থাকেন। বিভিন্ন সময়ে বাজারে এসে বিভিন্ন অজুহাতে টাকা দাবী করে। গত মাসেও কয়েকজন দোকানদার তাকে ৫০০ টাকা করে দিয়েছে। এখন আবার এসে টাকা দাবী করছেন। বাজারে মুদি দোকানদার পলাশ কুমার দেবনাথ বলেন, লাইসেন্স করার কথা বলে সে আমার কাছ থেকে দুই হাজার টাকা নিয়েছে।
রিপন কুমার সরকার নামে আরেক দোকানদার বলেন, ওই ব্যাক্তি আমাকে চাপ প্রয়োগ করে লাইসেন্স করে দেওয়ার নামে ১ হাজার টাকা নিয়েছেন। আজ আবার এসে টাকা চাইলে আমরা সবাই মিলে তাকে আটকে রেখেছি। অভিযুক্ত বিএম হাবিবুর রহমান বলেন, দোকানদারদের লাইসেন্স করে দেওয়ার জন্য আমি তাদের সহযোগিতা করি। আমার আসা যাওয়া ও লাইসেন্স খরচ বাবদ তাদের কাছ
থেকে টাকা নেই। দোকানদারদের সব অভিযোগ সত্য নয়।ফকিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান শিরিনা আক্তার বলেন, বিভিন্ন সময়ে হাবিবুর রহমান দোকান মালিকদের কাছ থেকে আইনের ভয়ভীতি দেখিয়ে অনৈতিকভাবে টাকা নেওয়ার বিষয়টি কথা শুনেছি। আজ আবার টাকা চাইতে আসলে দোকানদার মিলে
তাকে আটকে রাখে। আমি ঘটনাস্থলে এসে পুলিশেকে খবর দিয়ে তাকে থানায় হস্তান্তর করেছি। ফকিরহাট মডেল থানার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু সাঈদ মো. খায়রুল আনাম বলেন, দোনদারদের অভিযোগ পেয়ে হাবিবুর রহমানকে থানায় নিয়ে এসেছি। কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।