প্রধান শিক্ষককে লাঞ্ছিত ও বরখাস্তের ঘটনায় গোপালগঞ্জে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত

 গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার ২৮ নং উরফি বড়বাড়ি স. প্রা. বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত, সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী করার প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) বেলা ১১টায় গোপালগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে সংগঠনের জেলা শাখার উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও প্রতিবাদ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সিনিয়র সহ-সভাপতি আছমা খানমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে বলেন, প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসের বরখাস্তাদেশ প্রত্যাহার, বেতন বহাল, সাধারন ডায়েরী প্রত্যাহার সহ তাকে লাঞ্ছিতকারী সদর উপজেলা সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র রায়কে সাময়িক বরখাস্ত, তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের, ও প্রধান শিক্ষকের নিকট নিঃশর্ত ক্ষমা প্রার্থনার ৭ দিনের আল্টিমেটাম দিয়েছেন।

আগামী ৭ দিনের মধ্যে এসব দাবী মানা না হলে সারাদেশের শিক্ষকদের সাথে নিয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি কেন্দ্রীয় কমিটি কঠোর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা। সমাবেশে বঙ্গবন্ধু প্রাথমিক শিক্ষা গবেষণা পরিষদের সভাপতি মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে বাক বিতন্ডের জের ধরে সহকারী শিক্ষা অফিসার গৌতম চন্দ্র রায় প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাথি দিয়ে ফেলেদেন ও মারধর করেন।

পরবর্তীতে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে উল্টো ওই প্রধান শিক্ষককে সাময়িক বরখাস্ত ও তার বিরুদ্ধে থানায় সাধারন ডায়েরী করেন। তিনি আরো বলেন, কোন শিক্ষক বিধি লঙ্ঘন করলে তার আইন অনুযায়ী শাস্তি হবে। কিন্তু শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করা শিক্ষকের জন্য মানহানিকর ও কাম্য নয়। আগামী ২৮ অক্টোবর এ ঘটনার প্রতিবাদে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা গবেষণা পরিষদ সারাদেশে অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালনের কর্মসূচি ঘোষনা করেছেন।

সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কেন্দ্রীয় উপ-মহিলা সম্পাদিকা খাদিজা বেগম, গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের সাবেক উপাধ্যক্ষ সরদার নুরুল ইসলাম, শিক্ষক নেতা আসাদুজ্জামান, ফরিদা ইয়াসমিন প্রমূখ। উল্লেখ্য, গত ৩ অক্টোবর বিদ্যালয় পরিদর্শনকালে সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তা গৌতম চন্দ্র বিশ্বাস প্রধান শিক্ষক মনোজ কান্তি বিশ্বাসকে লাথি দিয়ে ফেলে দেন। সেই সাথে উপজেলা ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা প্রকৃত ঘটনা আড়াল করে তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেন এবং তার বিরুদ্ধে থানায় জিডি করেন। পরে বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা নিয়ে ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *