প্রতিবেশীর কুপ্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করায় বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা ক্রিকেট দলের সাবেক খেলোয়াড় রিফাত আরা ময়না (৩০) কে মারধোর করে মারাত্মক আহত করার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ময়নার বড়ভাই শেখ জাকারিয়া হোসেন বাদী হয়ে উত্তর পাড়ার বাসিন্দা ময়নার প্রতিবেশী কাজী বদরুল (৩৮) ও পুলিশিং কমিটির সভাপতি কাজী সিদ্দিকুর রহমানের বিরুদ্ধে আড়ংঘাটা থানায় মামলা করেছেন। ঘটনার বিবরনে জানাযায়, খুলনার রায়েরমহল এলাকার উত্তর পাড়ার বাসিন্দা কাজী বদরুল প্রায় ময়নাকে কুপ্রস্তাবসহ নানা রকম অশ্লীল ব্যবহার করে আসছে।
অভিযুক্ত বদরুল ময়নাদের প্রতিবেশী হওয়ায় ময়না মানসম্মানের কারনে বিষয়টি চেপে যায়। ক্রিকেটার ময়না জেলা ও জাতীয় পর্যায়ে ক্রিকেট খেলার পর ইনজুরির কারনে আপতত খেলাধুলা বাদ দিয়ে বাড়ির সামনে একটি মুদি ও মনোহরির দোকান পরিচালনা করছেন। গত ৮ আগষ্ট রাত ৮ দিকে কাজী বদরুল দোকানের সামনে এসে ময়নাকে নানা রকম কুরুচি পুর্ন ভাষা ও কুপ্রস্তাব দেয়। এতে ময়না প্রতিবাদ করলে কাজী বদরুল অন্ধকারে ময়নার উপর হামলা করে। তার হামলায় ময়নার বাম কান মারাত্মক রক্তাক্ত জখম হয়, এ ছাড়া শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা, ফোলা জখম হয়। ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ময়নার বাম কানে ২০ টি সেলাই লেগেছে বলে ময়না জানান।
বিষয়টি বদরুলের পরিবারকে জানালে বদরুলের পিতা কাজী সিদ্দিকুর রহমান কোন বিচার না করে উল্টো তিনি ১৪ নং ওয়ার্ডের বিট পুলিশিং কমিটির সভাপতির ক্ষমতা দেখিয়ে ময়নার পরিবারকে হুমকি ও মামলা করলে তাদের কিছু হবেনা বলে শাসিয়ে দেন। গুরুতর জখম ময়নাকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে সেখানে দুই দিন চিকিৎসা নেয়ার পর গত ১১ আগষ্ট ময়নার বড় ভাই মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩)। মামলা হওয়ার পর আসামী বিট পুলিশের সভাপতি হওয়ায় পুলিশের কোন ভুমিকা লক্ষ করা যায়নি। এ বিষয়ে ময়না ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দেশের হয়ে এবং খুলনা জেলার হয়ে ভলিবল এবং ক্রিকেট খেলেছেন, তাকে মেরে আহত করার ঘটনায় পুলিশকে খবর দেয়ার পর পুলিশ আসেনি। আসামীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে, এ ঘটনায় তিনি নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। এ বিষয়ে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কাজী রেজাউল করিম ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন মামলা হয়েছে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।