গত ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২০ খ্রিঃ সন্ধ্যায় শিবগঞ্জ থানার মেঘাখোর্দ্দ গ্রামের আনিসুর (৪০) ব্যাটারি ক্রয়ের জন্য গোবিন্দগঞ্জ শহরে আসলে হানিফ কাউন্টার এলাকা হতে পেশাদার অপহরণ চক্রের নেতা বকচর এলাকার লুংগি বাপ্পি ও তার ৩ সহযোগী মিলে কৌশলে আনিসুর কে অপহরণ করে বাপ্পি তার নিজ বাড়িতে নিয়ে যায়। রাত অনুঃ ৮টায় আসামি বাপ্পি ভিকটিম আনিসুরের মোবাইল হতে আনিসুরের ছেলেকে ফোন দিয়ে তার বাবাকে অপহরণের কথা এবং ৪০/- হাজার টাকা মুক্তিপণ হিসাবে দাবি করে, না দিলে তার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

ভিকটিমের ছেলে রনি নিজে নিজে অল্প টাকা দিয়ে বাবাকে মুক্ত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে রাত অনুঃ ১০ টায় থানায় আসলে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের একটি চৌকস দল আসামিদের দেয়া বিকাশ নং কিছু টাকা পাঠিয়ে সেই সুত্র ধরে আসামি বাপ্পি কে সনাক্ত করে। এরপর বাপ্পির বাড়িতে আকষ্মিক অভিযান চালালে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে বাপ্পি তার সহযোগী স্ত্রী সহ অন্যান্যরা ভিকটিম আনিসুর কে নিয়ে বাড়ির পিছন দিয়ে পালিয়ে যায়। এবং অপহরণের সহযোগিতা করায় বাপ্পির বাবা ছবেদ আলি ও শাশুড়ি মনোয়ার দ্বয়কে পুলিশ আটক করে। এরপরও বাপ্পির নেতৃত্বে আসামিরা ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে ভিকটিমের ছেলের নিকট আরো টাকা তাদের দেয়া বিকাশে পাঠাতে বলে ও মোবাইলে ভিকটিমকে মারপিট ও কান্নাকাটির শব্দ শুনায়।

এক পর্যায়ে পরিস্থিতি অনুধাবন করে অপহরণ চক্রের মুলহোতা আসামি বাপ্পি ওসি গোবিন্দগঞ্জ কে মোবাইলে প্রস্তাব দেয় পুলিশ যদি তার বাবা ও শাশুড়ি কে ছেড়ে দেয় তাহলে সে ভিকটিম আনিসুর কে ছেড়ে দিবে।কিন্তু ওসি গোবিন্দগঞ্জ আসামি কথায় রাজি না হয়ে বাপ্পির বাবার দেয়া অন্য আসামিদের নাম-ঠিকানা দিলে সেই অনুযায়ী সম্ভাব্য সব জায়গায় সাড়াশি অভিযান চালালে আসামিরা কুলকিনারা না পেয়ে অবশেষে ১৩ তারিখ দিবাগত-রাত অনুঃ ০৩.৩০ ঘটিকার সময় ভিকটিম আনিসুর কে গোবিন্দগঞ্জ ডিগ্রি কলেজে সামনে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। এবং ৮ ঘন্টার অপহরণ নাটকের অবসান ঘটে। ভিকটিমকে উদ্ধার শেষে গোবিন্দগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসা করানো হয়।এবং ভিকটিমকে জিজ্ঞাসাবাদে সার্বিক ঘটনা জেনে অপহরণ চক্রের ৬ সদস্যেদের বিরুদ্ধে থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়।

ভিকটিম আনিসুরের জুডিশিয়াল জবানবন্দি রেকর্ডের জন্য ও আটককৃর্ত দুই আসামি কে আদালতে প্রেরণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, আসামি বাপ্পি কিছু দিন আগে মাদক মামলায় গ্রেফতার হয় এবং জামিন নিয়ে এসে সে একটি অপহরণ চক্র গড়ে তোলে। এই চক্র ফলো করে গ্রামের কোন নিরীহ লোক গোবিন্দগঞ্জ শহরে আসলে তাকে কৌশলে অপহরণ করে লুকিয়ে রেখে ভিকটিমের মোবাইল দিয়ে পরিবারের নিকট টাকা দাবি করে এবং ভিকটিম পরিবার আসামিদের সাথে দরকষাকষি করে কিছু টাকা দিয়ে ভিকটিম কে ছাড়িয়ে নেয়। এই চক্র কে দীর্ঘ দিন হতে সনাক্ত করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলো পুলিশ। অবশেষে চক্রের সব সদস্য সনাক্ত হবার কারনে পলাতকদের গ্রেফতারে জোর প্রচেষ্টা অব্যহত রেখেছে পুলিশ।

İstifadəçi rəyləri Pin Up casino seyrək göstərilən xidmətlərin keyfiyyətini təsdiqləyir. azərbaycan pinup Qeydiyyat zamanı valyutanı seçə bilərsiniz, bundan sonra onu dəyişdirmək mümkün xeyr. pin-up Bunun üçün rəsmi internet saytına iç olub qeydiyyatdan keçməlisiniz. pin up Además, es de muy alto impacto y de una sadeed inigualable. ola bilərsiniz