পিরোজপুরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ,


পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে দশম শ্রেনীর ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা করা হয়েছে। এ ঘটনাটি উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চরবলেশ্বর গ্রামে ঘটে। ভুক্তভোগী স্কুল ছাত্রীর পিতা হানিফ হাওলাদার বাদী হয়ে প্রধান অভিযুক্ত ফায়জুল বেপারী ও ইউপি সদস্য শহিদুল হাওলাদারসহ চারজনের বিরুদ্ধে সোমবার রাতে ইন্দুরকানী থানায় মামলা করেন। জানা যায়, ভুক্তভোগী বালিপাড়া ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। একই গ্রামের বাবুল বেপারীর ছেলে ফাইজুল বেপারীর সাথে স্কুল ছাত্রী প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ফায়জুল তার সহযোগীদের সহায়তায় বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে স্কুল ছাত্রীকে বার বার ধর্ষণ করে। ঘটনাটি জানাজানি হলে ইউপি সদস্য শহিদুল হাওলাদার আসামী ফায়জুলের কাছ থেকে মোটা অংকের টাকা নেয়। পরে মিমাংসার কথা বলে মেয়ের পরিবারের কাছ থেকে তিন শত টাকার সাদা স্ট্রাম্পে স্বাক্ষর নিয়ে তাদের তাড়িয়ে দেন। শহিদুল হাওলাদার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মনিরুজ্জামান সেলিমের ছোট ভাই চন্ডিপুর ইউপি সদস্য ও যুবলীগ নেতা। অভিযোগ অস্বীকার করে ইউপি সদস্য শহিদুল হাওলাদার জানান, আমি এ ব্যাপারে মিমাংসা করার জন্য কয়েক বার বৈঠকে বসছিলাম। কিন্তুু মিমাংসা না হওয়ায় আমাকে জড়িয়ে থানায় ধর্ষন মামলা করা হয়েছে। ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক এনাম বিকেলে জানান, স্কুল ছাত্রী ধর্ষনের অভিযোগে গতকাল রাতে থানায় মামলা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।