পিরোজপুরে গণতন্ত্র চর্চায় স্কুল কেবিনেট নির্বাচনে শিশুরা

 শিশু থেকেই গণতন্ত্র চর্চায় প্রাথমিক ও গণ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে স্টুডেন্ট কাউন্সিল নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছ। আজ বৃহস্পতিবার (০২ জুন ) প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশ ব্যাপী স্কুল কেবিনেট নির্বাচনের অংশ হিসেবে পিরোজপুর জেলার প্রতিটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এ নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করে। সদর উপজেলার ৮০ নং পাল পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে দেখা যায়, সকল শিক্ষক শিক্ষার্থী এবং ম্যানেজিং কমিটির সার্বিক সহযোগিতায় সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং আনন্দ মূখর পরিবেশে ভোট গ্রহন চলছে। এ যেন অধিকার রক্ষা এবং গণতন্ত্র চর্চার হাতে খড়ি দিচ্ছে শিশুরা।

 

 

 

স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি এডভোকেট চন্ডি চরণ পাল বলেন. এ নির্বাচনের মাধ্যমে শিশুরা গণতন্ত্র চর্চায় আগ্রহী হবে ,নিজেদের অধিকার রক্ষায় সচেতন হবে এবং এ কর্মকান্ড তাদেরকে অনুপ্রাণিত করে দেশের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তুলবে। ম্যানেজিং কমিটির সহ সভাপতি ও ৪ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোঃ শহিদুল ইসলাম শিকদার জানান,গণতন্ত্রকে তৃণমূলে নিয়ে যেতে হবে। শিক্ষার্থীদের মাঝে গণতন্ত্রচর্চা, নিজেদের অধিকার সম্পর্কে ধারণা, অন্যের মতামতের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদশর্ন,শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে আন্তরিকতা তৈরি, শিক্ষার্থী ঝরে পড়ার হার রোধসহ নিজেদের মূল্যবোধ এবং দায়িত্ব সম্পর্কে শিক্ষাদানে স্কুল কেবিনেট নির্বাচনের আয়োজন করা হয়েছে।

এটি নিঃসন্দেহে তাদের দায়িত্বশীল হিসেবে তৈরি করবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের শিখন শেখানোর কার্যক্রমে শিক্ষকদের সহায়তা, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শতভাগ ভর্তি ও ঝরে পড়া

রোধে সহায়তা, শিক্ষপ্রতিষ্ঠানের পরিবেশ উন্নয়ন কর্মকান্ডে অংশগ্রহণ ও ক্রীড়া, সাংস্কৃতিকসহ সহশিক্ষা কার্যক্রমে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে এই স্কুল কেবিনেট ব্যবস্থা। পিরোজপুর পি টি আই ইন্সট্রাক্টর (চারু ও কারু কলা) কবরী বিশ্বাস বলেন, এ বছর দেশের আট বিভাগ ও আটটি মহানগরের আওতাধীন ৫৫৯ উপজেলা/থানায় ২২ হাজার ৯২৬ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নেতা নির্বাচন হচ্ছে। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৩৮৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৬ হাজার ৫৪২ টি দাখিল মাদ্রাসা রয়েছে।

প্রধান শিক্ষক সোহোলী আশফিয়া জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী সারা দেশের মতো আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনের আয়োজন করা হয়। এতে শিক্ষার্থীরা অনুপ্রাণিত হয়ে নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করবে বলে আশা রাখি। শিশুরা প্রথম থেকেই সরাসরি গণতন্ত্রমূলক কাজে অংশগ্রহণ করবে। এতে তাদের উপর রাজনৈতিক প্রভাব পরবে না বরং শিশুরা তাদের অধিকার রক্ষায় সচেতন হবে। এসময় প্রধান নির্বাচন কমিশন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী সারা রহমান,প্রিজাইডিং অফিসার হিসেবে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থী আদিত্য এবং শুভশ্রী পাল, পোলিং অফিসার হিসেবে ৪ র্থ শ্রেণির শিক্ষার্থী মোসাম্মাদ লাবিবা আক্তার এবং জয়।



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *