নেছারাবাদে সমবায় সমিতির জমানো টাকা আদায়ের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার যুবক থানায় অভিযোগ
নেছারাবাদে পাওনা টাকা আদায়ের জের ধরে সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছেন নেপাল কুমার শীল নামে এক যুবক। এ ঘটনায় গত ২১আগষ্ট (সোমবার) নেছারাবাদ থানায় মো: শামীম, সঞ্জয় বিশ্বাস, জালিস সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েও বিচার পাচ্ছেনা ওই যুবক। থানায় বিচার চাইতে গিয়ে এখন সন্ত্রাসীদের হুমকিতে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী নেপাল শীল। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার আটঘর-কুড়িয়ানা ইউনিয়নের পূর্ব ব্রাক্ষ্মনকাঠি গ্রামে।
থানায় লিখিত অভিযোগে জানা যায়, আসামীরা অত্যন্ত দূর্দান্ত সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক। তারা এলাকায় বসে গায়ের জোরে যা ইচ্ছে তাই করে বেড়ায়। কোন ধরনের অপরাধ করতে তারা দ্বিধাবোধ করেনা। ভাড়ায় যেকোন লোকের পক্ষে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালায়। ঘটনার দিন নেপাল শীল উপজেলায় জাতীয় শোক দিবসের দোয়া অনুষ্ঠানে আসে। সেখান থেকে বাড়ী ফেরার পথে রাতে ইউনিয়নের পূর্ব ব্রাক্ষ্মনকাঠি বাজারে পৌছালে সন্ত্রাসীরা তার উপর হামলা চালায়। তাকে মারধরের এক পর্যায়ে তার ডাক চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান।
ভুক্তভোগী নেপাল শীলের অভিযোগ তিনি আটঘর কুড়িয়ানা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র পদে বিজয়ী ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের পরিচালিত সমবায় সমিতি একটি ফিক্সড ডিপোজিট করেছিলেন। সেই ডিপোজিটের টাকা মেয়াদ পার হওয়ার পরও টাকা ফেরৎ না দিয়ে মাসের পর মাস ঘুরাচ্ছিলেন। এক পর্যায়ে নেপাল শীল পিরোজপুর ডিসি বরাবর একটি অভিযোগ দিয়ে আইনি প্রক্রিয়ায় টাকা আদায়ে সক্ষম হন। তখন থেকে চেয়ারম্যান মিঠুন হালদার তার উপরে ক্ষ্যাপা(চড়াও) ছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় তার নির্দেশে আসামীরা তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে টার্গেট করে ওইদিন রাতে হামলা চালায়। এব্যাপারে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে বাদী নেপাল শীল তৎক্ষনাৎ একটি অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেনা।
নেপালের অভিযোগ থানায় অভিযোগ দেয়ার পরে সন্ত্রাসীরা এখন তাকে উল্টো হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছে। এতে ভুক্তভোগী নেপাল শীল চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। নেছারাবাদ থানার এসআই (উপ-পরিদর্শক) মো: শাহজাহান কবির বলেন, ওই যুবক থানায় একটি অভিযোগ দিয়েছেন। এখন তাকে জিডি করার জন্য পরামর্শ দেয়া হয়েছে। জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে থানায় আসলে জিডি নেয়া হবে। পরে আইনানুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ইউনিয়নের সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামীলীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শেখর কুমার সিকদার বলেন, এলাকায় কয়েকটা ধাপ্পাবাজ সমিতি হয়েছে। সমিতির মালিক জনগনের জমানো টাকা নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন। আর জনগন জমানো টাকা চাইতে গিয়ে সমিতি মালিকের পালিত সন্ত্রাসীর মারধরের শিকার হচ্ছেন।
এলাকায় উল্লিখিত সন্ত্রাসীরা দিন দিন বেপরোয়া হয়ে উঠছে। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান মিঠুন হালদারের সাথে কথা বলতে চাইলে এলাকায় গিয়ে তার সাক্ষাৎ মেলেনি। পরে তার ব্যবহৃত মোবাইলে কল দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।