সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে বাস ভাড়া ৬০% বৃদ্ধি করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী আজ ঢাকা গোপালগঞ্জের বাস গুলো শুধুমাত্র জানালার সারির সিটে যাত্রী বহন করেছে। বাসে ওঠার আগে ভালোভাবে স্প্রে করা হয়েছে এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার এর মাধ্যমে গাড়ির স্টাফরা যাত্রীদের হাত জীবাণুমুক্ত করেছেন। কোন ধরণের বস্তা গাড়ির ভিতরে ঢুকাতে না দিয়ে বাংকারে রাখা হয়েছে। ধলেশ্বরী ও ভাঙ্গা দুটো স্পটে হাই ওয়ে পুলিশ চেকপোস্ট থেকে পুলিশ সদস্যরা যাত্রী বেশি নেওয়া হয়েছে কিনা চেক করেছেন এবং সকল কে মাস্ক ব্যবহার করার অনুরোধ করেন।
এইবার আসি আসল কথায়, ঘাটে বাস থেকে নেমে লঞ্চে উঠে দেখি সাধারণ সময়ের চেয়েও অতিরিক্ত যাত্রী! সেখানে নাই কোনো সামাজিক দূরত্ব, নাই কোনো স্বাস্থ্য বিধির নিয়ম কানুন! অন্য সময় লঞ্চে তিনটি পরিবহনের যাত্রী নিলেও আজ নিয়েছে ৮ টির মতো আর সেই সাথে ভরপুর লোকাল যাত্রী তো আছে ই! যারা এই রুটে নিয়মিত চলাচল করেন চতুর্থ ছবি দেখলেই বুজবেন লাল, নীল এবং হলুদ জামা পড়া লোক গুলো বিভিন্ন পরিবহনের সুপারভাইজার।
জনগণ ও আইন অমান্য করে খুব মজা পাচ্ছে, অনেকেই দেখলাম মাস্ক পকেটে রেখেছেন, পুলিশ আসলে পড়তেছে, চলে গেলে আবার পকেটে রাখে!! আর লঞ্চ থেকে নামার সময় সেই লেভেলের ধাক্কা ধাক্কি তো আছে ই!!
মূল কথা হলো আংশিক আইন ও নিয়ম কানুন পালনের ফলাফল শুন্য।