নাসিম খানকে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য ও সহ- সভাপতি পদ থেকে আজীবনের জন্য অব্যহতি
রিপোর্টার ক্লাবের মোঃ নাসিম খান আজীবন বহিস্কারের চূড়ান্ত প্রতিবেদনঃ মোঃ নাসিম খানের সংগঠন বিরোধী কাজে লিপ্ত থাকার জন্য ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠনঃ আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্যদের মধ্য থেকে মোঃ জাহাঙ্গীর আলমকে কমিটির প্রধান করে ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটি করা হয়। সদস্য মোঃ ফারুক হোসেন,অর্থ সম্পাদক মোঃ রিপন মিয়া,সদস্য মোহাম্মদ আলী সীমান্ত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নুর আলম জিকু।তারা ১মাস সময় নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে যাচাই -বাছাই করে একটি লিখিত চূড়ান্ত প্রতিবেদন ২৬/১০/২০ইং তারিখ সকাল ১০টার সময় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর প্রতিবেনটি জমা দেন।প্রতিবেদনটি সংগঠনের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ক্লাবের ভাব মূর্তি ক্ষুন্ন হয়েছে প্রমাণ সহ উল্লেখ করে মোঃনাসিম খানকে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য ও সহ-সভাপতি থেকে আজীবন বহিষ্কারের কথা উল্লেখ করে ৫সদস্য বিশিষ্ট কমিটির সদস্যরা একটি প্রতিবেদন জমা দেন।প্রতিবেদনটি সভাপতির অনুমতি ক্রমে সাধারণ সম্পাদক সন্ধ্যা ৭টার সময় মিটিংয়ে উপস্থিতি কার্য্য-নির্বাহী পরিষদ ও সকল সদস্যদের পড়ে শোনান।প্রতিবেদনটি পড়ে শোনানোর পরে কার্য্য-নির্বাহী পরিষদের সকলের উপস্থিতিতে মূল চূড়ান্ত বক্তব্য দেনঃ ১/কার্য্য-নির্বাহী সদস্য মোঃ মনির হোসেন তার বক্তব্যে বলেন,মোঃ নাসিম খান আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের বিরোধী শত্রুদের সাথে আতায়াত করে সংগঠনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছে এবং সংগঠনের ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন করেছে,তাই আমি আবেদন করছি, মোঃনাসিম খানকে আজীবন ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হোক।২/ কার্য্য-আঃ রশীদ বলেন, নাসিম খান যে অপরাধ করেছে তা ক্ষমার যোগ্য নয়,তাই আমি বিনীত ভাবে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি নাসিম খানকে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাব আজীবন বহিষ্কার করা হোক।৩/মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আশা চৌধুরী বলেন, নাসিম খান হান্নানের সাথে মিলিয়ে রিপোর্টার্স ক্লাবের ক্ষতি করেছে এবং সভাপতির কথা ভিডিও এর মাধ্যমে হান্নান এর কাছে বলে প্রচার করে সংগঠনের ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন করেছে, তাই নাসিম খানকে ক্লাব থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হোক।৪/ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মাহবুব আলম মানিক বলেন,নাসিম খান সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে সংগঠনের যে ক্ষতি সাধন করেছে,তা ক্ষমার অযোগ্য,তাই নাসিম খানকে আজীবন বহিষ্কার না করলে সংগঠন আরও বিপদের সম্মুখীন হবে,তাই আমি নাসিম খানকে ক্লাব থেকে আজীবন বহিষ্কার করা হোক,সেই দাবি জানাচ্ছি। ৫/সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সেলিম মিয়া বলেন, নাসিম খান যে অপপ্রচার চালিয়েছে, তা ক্ষমা করা যায় না, তাই আমি বহিস্কারের বিষয় সকলের সাথে একমত পোষণ করছি।৬/প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ আকরাম সরদার বলেন,একজন অযোগ্য লোককে সহ -সভাপতি পদে বসিয়ে সবচেয়ে বড় ভুল করেছেন আপনারা। কারন তার কোন আগা মাথা নেই,যখন -তখন যা তা বলে সংগঠনের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে।সময় মতো এই নগন্য সদস্যকে ক্লাব থেকে আজীবন বহিষ্কার না করলে,ভবিষ্যতে সংগঠনের আরও ক্ষতি করবে।তাই তাকে আজীবন বহিষ্কার করা হোক। ৭/অর্থ সম্পাদক মোঃ রিপন মিয়া বলেন,নাসিম খান এত অপরাধ করেছে, তা বলার ভাষা আমরা হারিয়ে ফেলেছি। তার কারন তাকে বারে বার,মৌখিক ভাবে সতার্ক করার পরেও সে কারোর কথা তোয়াক্কা করে না।সে ক্লাবের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এর অনুমতি না নিয়েপ্রেস ক্লাবে বিরোধী পক্ষকে নিয়ে সংগঠনের বিরুদ্ধে মিটিং এর মাধ্যমে সভাপতির বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের পায়তারা করেছে।আরও একটা যঘন্য অপরাধ করেছে, আমাদের ক্লাবের সদস্যদের নামে একটি মেয়েকে দিয়ে অভিযোগ করেছে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সহ সদস্যদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট,ভিত্তিহীন কয়েকটি অনলাইন পোর্টালে নিউজ করে সংগঠনের যে ভাব মুর্তি ক্ষুন্ন করেছে,তা কোন দিনও ক্ষমা না ।তাই আমি বলবো,নাসিম খানকে আজীবন সংগঠন থেকে বহিষ্কার করে পাপ মোচন করা হোক। ভবিষ্যতে যাতে আর কোন সদস্য এই ধরনের যঘন্য অপরাধের জড়িত না হয়।৯/সহ-সভাপতি বাবুল আহমেদ বলেন, নাসিম খাম যে অপরাধ করেছে,তার গড ফাদার নীরবের কারনে,তাই এই ধরনের সদস্যকে ক্লাবে না রাখা ভালো।তাই সবার মতামতের ভিত্তিতে আমিও একমত পোষণ করি,যে নাসিম খানকে আজীবন ক্লাব থেকে বহিষ্কার করা হোক।কার্য্য-পরিষদের সকলের জোরালো বক্তব্য ও মতামতের ভিত্তিতে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক একই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়ে মোঃনাসিম খানকে আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের সদস্য ও সহ-সভাপতি পদ থেকে আজীবন অব্যহতি দেওয়া হলো। উল্লেখ্য উপরে সব বিষয় উল্লেখ করে এবং কার্য্য- পরিষদের বক্তব্য ও মতামতের ভিত্তিতে এই নোটিশ জারি করা হলো।