গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় নাজমুল খান (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্র নিখোঁজ হওয়ার প্রায় ১বছর পরে মো: মোস্তাকিন বেপারী (১৪) নামে এক স্কুল ছাত্র ও তার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে খুন এবং অপহরণ মামলা দিয়েছে প্রতিপক্ষ। স্কুল ছাত্র মো: মোস্তাকিন বেপারী উপজেলার তালপুকুরিয়া গ্রামের আব্বাস আলী বেপারীর ছেলে ও তালপুকুরিয়া পঞ্চপল্লী উচ্চ বিদ্যালয়ের অস্টম শ্রেণির ছাত্র। মো: মোস্তাকিন বেপারী ও তার দুই ভাই তাদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাটিকে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার কোটালীপাড়া রিপোর্টাস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে স্কুল ছাত্র মো: মোস্তাকিন বেপারী লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত বছরের আগস্ট মাসে আমাদের গ্রামের মনির খানের ছেলে নাজমুল খান নিখোঁজ হন। নামজুল খান ও আমি একই সঙ্গে লেখাপড়া করতাম। শুনেছি, তালপুকুরিয়ার একটি রাস্তা নির্মানের গাড়ীতে উঠে নাজমুল খান উপজেলা সদরে নেমে তার মামা বাড়িতে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার এলাকায় শালিস বৈঠক হয়েছে। সেখানে ওই গাড়ীর ড্রাইভার সজল একই বক্তব্য দিয়েছেন। তিনি আরো বলেন, নাজমুল খান নিখোঁজের প্রায় ১ বছর পর চলতি মাসের ১৫তারিখ মনির খান বাদী হয়ে আমাকে ও আমার দুই ভাইসহ পাঁচ জনকে আসামি করে গোপালগঞ্জ বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি খুন ও অপহরণ মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বর্তমানে কোটালীপাড়া থানায় তদন্তধীন রয়েচে।
আমরা তিন ভাই নাজমুল খান নিখোঁজ হওয়ার সাথে জড়িত নই। তাই এই মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা থেকে বাঁচতে আমরা প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষন করছি। সংবাদ সম্মেলনে মোস্তাকিনের ভাই সুজন বেপারী ও সোহেল বেপারী উপস্থিত ছিলেন। মামলার বাদী মনির খান বলেন, মোস্তাকিন ও আমার ছেলে নাজমুল একই স্কুলে একই সঙ্গে লেখাপড়া করতো। ঘটনার দিন দুজনে এক সঙ্গে স্কুলে যায়। বিকেলে মোস্তাকিন বাড়ি ফিরে আসে। কিন্তু আমার ছেলে ফিরে আসেনি। আমার ধারণা, মোস্তাকিন ও তার ভাইয়েরা আমার ছেলেকে অপহরণ করে খুন করেছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কোটালীপাড়া থানার এসআই মো: আব্দুল করিম বলেন, মামলাটি বর্তমানে তদন্তধীন রয়েছে। তদন্তের পরে সঠিক ঘটনা জানা যাবে।