নওগাঁর রাণীনগর উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং করা হচ্ছে। এতে পল্লী বিদ্যুতের ভেলকিবাজিতে অসহ্য গরমে জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। উপজেলা সদরে কম লোডশেডিং করা হলেও গ্রামাঞ্চলে ঘন ঘন লোডশেডিং করছে রাণীনগর পল্লী বিদ্যুৎ অফিস। সোমবার সকাল থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত উপজেলা সদরে ৩ থেকে ৪ বার লোডশেডিং করা হলেও গ্রামাঞ্চলে ৫ থেকে ৭ বার লোডশেডিং করা হয়েছে। ফলে দিন-রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে অর্ধেক সময় বিদ্যুৎ পাচ্ছে না গ্রাহকরা। উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ রাণীনগর জোনাল অফিসের আওতায় উপজেলা জুড়ে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৬২ হাজার ৫শ’ গ্রাহক রয়েছে। উপজেলা সদরে ও আবাদপুকুর এলাকায় পল্লী বিদ্যুতের দুুইটি সব-স্টেশন। গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য দুইটি সাব-স্টেশনে ১২টি ফিডারে বিভক্ত করা হয়েছে। আর এসব ফিডারের মাধ্যমে সকল গ্রহকদের মাঝে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়ে থাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত কয়েকদিন থেকে উপজেলায় পল্লী বিদ্যুতের লোডশেডিং বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে প্রচন্ড তাপদাহ, ভেপসা গরম আবার সেই সাথে পল্লী বিদ্যুতের ঘন ঘন লোডশেডিং। ফলে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। এতে করে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন উপজেলার পল্লী বিদ্যুতের হাজার হাজার গ্রাহক। আর ব্যাহত হচ্ছে সেচ কার্যক্রম, চালকলে চাল উৎপাদন ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম। এছাড়া কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে শান্তি মত বিশ্রামও নিতে পাড়ছে না মানুষ। এ লোডশেডিংয়ে শিশু, বৃদ্ধ ও অসুস্থ্য ব্যক্তি এবং হাসপাতালে ভর্তিরত ব্যক্তিদের কষ্ট সবচেয়ে বেশি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পল্লী বিদ্যুতের বেশ কয়েকজন গ্রাহক বলেন, সদরে অনেক সময় বিদ্যুৎ পাওয়া গেলেও গ্রামাঞ্চলে একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে আসার কোন সময় থাকে না। এক-দেড় ঘন্টা পর আসলেও কিছু সময় পর আবার লোডশেডিং করা হচ্ছে। দিনের বেলা লোডশেডিং কম হলেও রাতে ঘন ঘন লোডশেডিং করা হয়। ফলে চড়ম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। তারা আরও বলেন, লোডশেডিংয়ের কারণে ঠিকমত বিদ্যুৎ না পাওয়ায় সময় মত জমিতে পানি সেচও দিতে পারছেন না গভীর নলকূপ ও অগভীর নলকূপের অপারেটররা। ফলে ফলন নিয়ে দুচ্ছিন্তায় পড়েছেন কৃষকরা। এ বিষয়ে জানতে চাইলে নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর রাণীনগর জোনাল অফিসের এজিএম এম. তাহসিন ইলিয়াস বলেন, চাহিদার তুলনায় বিদ্যুৎ কম পাওয়ায় লোডশেডিং হচ্ছে।