তাইজুলের ৫ উইকেট, বাংলাদেশের সামনে রেকর্ড রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশকে ‘৪৩৭’ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিল শ্রীলঙ্কা
চারশোর উপর লিড নিয়ে লাঞ্চ বিররিতে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। যেকোনো সময় ইনিংস ঘোষণা আসতে যাচ্ছে এটা অনুমিত ছিল। কিন্তু লাঞ্চের পরও ব্যাট করতে নামল শ্রীলঙ্কা। আরও ৩ উইকেট হারিয়ে তুলল ২২ রান। নবম উইকেট পড়তে এলো ইনিংস ঘোষণার ডাক। লঙ্কানদের মারার তালে ৫ উইকেট পেয়ে গেছেন তাইজুল ইসলাম
মধ্যাহ্ন বিরতি থেকে ফিরেই নিরোশান ডিকভেলাকে শিকার করেন পেসার তাসকিন আহমেদ। তাইজুলের তালুবন্দী হওয়ার ডিকভেলা করেন ২৫ বলে ২৪ রান। পরের ওভারেই তামিম ইকবালের হাতে ক্যাচ দিয়ে তাইজুলের চতুর্থ উইকেটে পরিণত হন রমেশ মেন্ডিস। নিজের পরের ওভারেই সুরাঙ্গা লাকমলকে বোল্ড করে ৫ উইকেট শিকার করেন তাইজুল।
২ উইকেটের বিনিময়ে ১৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিন মাঠে নামে শ্রীলঙ্কা। দিমুথ করুনারত্নে ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস ছিলেন ক্রিজে। সকালে ২২ রান যোগ হতেই তাইজুল ইসলামের বলে শর্ট লেগে ইয়াসির আলির তালুবন্দী হয়ে ফেরেন ম্যাথিউস।
চতুর্থ উইকেটে দ্রুত রান তোলেন করুনারত্নে ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভা। ৭৩ রানের জুটি গড়েন তারা। করুনারত্নেকে শিকার করে এই জুটি ভাঙেন সাইফ হাসান। তিনি করেন ৬৬ রান। করুনারত্নের বিদায়ের পর ধনাঞ্জয়াকেও সাজঘরের পথ দেখান মেহেদী হাসান মিরাজ। স্লিপে নাজমুল হোসেন শান্তর তালুবন্দী হওয়ার আগে তিনি করেন ৫২ বলে ৪১ রান।
ষষ্ঠ উইকেটে পাথুম নিশাঙ্কা ও নিরোশান ডিকভেলা দ্রুত রান তুলতে শুরু করেন। তাদের ৪৪ বলে ৩৮ রানের জুটি ভাঙেন তাইজুল। শরিফুলের তালুবন্দী হয়ে বিদায় নেন ৩১ বলে ২৪ রান করা নিশাঙ্কা। ১৬২ রানে ৬ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তারা ৯ম উইকেট হারায় ১৯৪ রানে এবং ইনিংস ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশের পক্ষে তাইজুল ৫টি, মিরাজটি ২টি এবং সাইফ ও তাসকিন ১টি করে উইকেট পেয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
শ্রীলঙ্কা ৪৯৩/৭ ডিক্লেয়ার (১৫৯.২ ওভার, প্রথম ইনিংস)
থিরিমান্নে ১৪০, করুনারত্নে ১১৮, ডিকভেলা ৭৭*, ওশাদা ৮১, রমেশ ৩৩, নিশাঙ্কা ৩০;
তাসকিন ৪/১২৭, তাইজুল ১/৮৩, শরিফুল ১/৯১, মিরাজ ১/১১৮।