র্যাব-৮(সিপিসি-১),পটুয়াখালী ক্যাম্প এর একটি বিশেষ আভিযানিক দলের ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার সহকারী পরিচালক জনাব মোঃ রবিউল ইসলাম এর নেতৃত্বে গত ১২/০৯/২০২০ইং তারিখ দুপুর আনুমানিক ০২.০০ ঘটিকার সময় পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানাধীন আমখোলা এলাকায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে একটি বন্যপ্রাণী ‘‘তক্ষক’’ উদ্ধার করা হয়। এ সময় তক্ষক পাচারের অভিযানে মোঃ রাসেল (৪০), পিতা-মৃত আমজাদ হোসেন,সাং-তুলাতুলি, ০৫নং ওয়ার্ড, ১০নং বালিয়াতলি ইউনিয়ান,থানা- কলাপাড়া, জেলা-পটুয়াখালী ব্যক্তিকে আটক করা হয়। কথিত গুজব প্রচলিত আছে ক্যান্সারের ঔষধ তৈরীতে তক্ষক ব্যবহার হয়; তক্ষক ঘরে রাখলে নাকি সহসাই ধনী হওয়া যায়; তক্ষকের মাথার ম্যাগনেট দাম কোটি টাকা; প্রতিবেশী দেশে এর ব্যাপক চাহিদা; এমন গুজবের ওপর ভর করে দেশজুড়ে সংঘবদ্ধ কিছু প্রতারক চক্র নির্বিচারে তক্ষক ধরছে। এমন গুজব ছড়িয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে তক্ষক নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ ও আলোচনা সৃষ্টি করছে। এর পর প্রতারণার মাধ্যমে তাদের হাতে কথিত ‘মহামূল্যবান’ তক্ষক বা এর কঙ্কাল গছিয়ে দিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। একটি ১০” থেকে ১২” ইঞ্চি লম্বা সাইজের তক্ষকের দাম ধরা হচ্ছে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা আর এই ধরনের প্রতারক চক্রের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বস্ব খুইয়েছেন অনেকেই। আটককৃত ‘তক্ষক’ পাচারকারী মোঃ রাসেল (৪০) সংঘবদ্ধ ‘তক্ষক’ পাচারকারী দলের একজন সক্রিয় সদস্য বলে সূএে জানা গেছে। তিনি অত্যন্ত সুকৌশলে অতি উচ্চ মূল্যে তক্ষক পাচার করে আসছে দীর্ঘদিন যাবত। উদ্ধারকৃত তক্ষকসহ আসামীকে(রাসেলকে) পটুয়াখালী জেলার গলাচিপা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ব্যাপারে র্যাব-৮ নিজ বাদি হয়ে গলাচিপা থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইন ১৯৭৪ এর (খ) ধায়ায় একটি মামলা দ্বায়েরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এছাড়া র্যাবের এ ধরনের কার্যক্রম ভবিষ্যতে অব্যাহত থাকবে বলে সংবাদ মাধ্যমে জানানো হয়েছে।