আওয়ামী লীগের ঢাকা মহানগরের দুই কমিটিতে এবার কাউন্সিলরদের কোনো পদে রাখা হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই তা করা হচ্ছে বলে জানান মহানগর নেতারা। তবে কাউন্সিলররা ওয়ার্ড ও থানা পর্যায়ের কমিটিতে থাকতে পারবেন। ওয়ার্ডগুলোর নাগরিক সেবা নিশ্চিত করতেই এই সিদ্ধান্ত বলেও জানান মহানগরের নেতারা। তবে কাউন্সিলররা এই সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছেন।
গেল ৩০শে নভেম্বর ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের পর নতুন নেতৃত্ব হাত দেয় পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কাজে। প্রধানমন্ত্রী মহানগর কমিটিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের না রাখার নির্দেশ দিয়েছেন তাদের। একই সাথে যারা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিদ্রোহী প্রার্থী হয়েছিলেন তাদেরও বাদ রাখতে বলা হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান বলেন, “কাউন্সিলরদের ব্যাপারে দাবি ছিল তারা যেন এলাকায় কাজ করতে পারেন, তাদের ভাইটাল পদ না দিয়ে সম্মানজনক পদ দেয়া। তারা থানা এবং ওয়ার্ডের মধ্যেই থাকবেন। কারো যদি মহানগরে আসার যোগ্যতা থাকে আর নেত্রী যদি মনে করেন তাকে পদ দিলে ভাল হবে তাহলে একমাত্র নেত্রীর এখতিয়ার আছে তাকে সেখানে দেয়ার।”
কাউন্সিলররা বলছেন, তারা দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তাই যোগ্যদের মহানগর কমিটিতে না রাখা যৌক্তিক নয়। যদিও নেতারা বলছেন, ক্ষমতার ভারসাম্য রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি বলেন, “এই কমিটিতে কাউন্সিলর বা অন্যান্য জনপ্রতিনিধি কে কোথায় থাকবেন এর সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লিগ। আমাদের সিদ্ধান্ত নেয়ার এখতিয়ার নেই।” মঙ্গলবার দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দেয়ার শেষ সময়।