“ডাক্তার” শব্দটি ইংরেজি DOCTOR শব্দের বাংলা রূপ। DOCTOR এসেছে ল্যাটিন DOCEO বা DOCTUS থেকে। যার অর্থ TEACHER। আদি অর্থে ডাক্তার মানে শিক্ষক। ত্রয়োদশ শতকে একাডেমিক টাইটেল হিসেবে DOCTOR উপাধি দেয় ইউরোপের ইউনোভার্সিটিগুলো। মধ্য যুগে ডক্টর মানে চিকিৎসক হয়েছে। আর বৈদ্য শব্দটি বিদ্ ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ “জানা”। এই বিদ্ ধাতু থেকেই এসেছে “বিদ্যা” শব্দ। তা থেকে বদ্যি বা ডাক্তার। কবি শব্দের অর্থ কবিতা রচয়িতা নয়; অর্থ হচ্ছে সব বিষয়ে জ্ঞানী। এই সর্বজ্ঞদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ তাদেরকে মৈথালী ভাষায় কবিরাজ বা মহাপন্ডিত বলা হতো। সে সময় বৌদ্ধরা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পান্ডিত্য অর্জন করে পান্ডিত্য সূচক ‘কবিরাজ’ উপাধী গ্রহণ করতেন। হাকীম শব্দটি আরবী ‘হিকমত’ শব্দ হতে উদ্ভুত। যার অর্থ বিজ্ঞানী বা কুশলী। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ইবনে সীনা, আল রাজীসহ অনেক বিজ্ঞানীকে আরবী হাকীম শব্দ দিয়ে সম্বোধন করা হতো। আর জনসাধারণের জন্য তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসেবে বেশি পরিচিত অর্জন করেছিলেন। তাই পরবর্তী চিকিৎসকদেরকেও হাকীম শব্দ দিয়ে সম্বোধন করা হতো। এ মনীষীগণ শুধুমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন না বরং একাধারে বেশ কয়েকটি বিষয়ের বিজ্ঞানী ছিলেন। যার কারণে তাদেরকে হাকীমুত তিব্ব সম্বোধন না করে ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ হাকীম দিয়ে সম্বোধন করা হয়েছিল। সাধারণ কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে যেমনি বিজ্ঞানী বলা যায় না, তেমনি কোন সাধারণ চিকিৎসককেও চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলা যায় না। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মেডিকেল এবং ডেন্টাল পড়াশোনার পর বাংলাদেশে এ সেবা দেয়ার ব্যাপারে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরদের অনুমোদন দেয় বিএমডিসি। সংস্থাটি বাংলাদেশে মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার ব্যাপারেও নীতিমালা প্রণয়ন করে। এ আইনটি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়। এবার আসা যাক আমার শিরোনামের প্রসঙ্গে। ডাক্তার শব্দটি বিএমডিসির কোন নিজস্ব সম্পত্তি নয়। যে রুলসের মাধ্যমে এটা করা হচ্ছে তা সংশোধন এখন সময়ের দাবি। দেখুন যে ইন্ডিয়া আয়ুর্বেদের তীর্থস্থান সেখানে ডাক্তার লিখলে তো কেউ আপত্তি করে না? পার্শ্ববর্তী কোন দেশেই এ নিয়ে আপত্তি নাই। সে দেশগুলোতেও কিন্তু, অ্যালোপ্যাথিও অনেক এগিয়েছে। যে দেবি শেঠিকে আপনারা এতো চিনেন তার চোখে কি ইন্ডিয়ায় আয়ুর্বেদিক ডাক্তার চোখে পড়েনা? তারা এ নিয়ে কোন আপত্তি করেছে এমন খবর কারো কাছে আছে? বাংলাদেশের একমাত্র স্নাতক ডিগ্রীর ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসী অনুষদের অধিভুক্ত ব্যাচেলর অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিইউএমএস) এবং ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএএমএস)। এমবিবিএস এরমতই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে নির্দিষ্ট পয়েন্ট হলেই ভর্তির আবেদন করা যায় এখানে। এমবিবিএস কারিকুলামের অনুরুপ কোর্সটির পাঁচ বছর প্রাতিষ্ঠানিক ও এক বছর ইন্টার্নশিপ শেষে পাওয়া যায় ডিগ্রি। প্রতিবছর ইউনানি বিষয়ে ২৫ জন ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে ২৫ জন ভর্তির সুযোগ পান। ৯৬ এর পর বের হয় প্রথম ব্যাচের চিকিৎসক। দেখুন ২৩ বছরে গ্র্যাজুয়েড চিকিৎসক মাত্র ৯শ। এ দেশে আন্দোলন ছাড়া কিছু হয়না। তাই, সংখ্যায় কম হওয়ায় দাবি আদায় হয়েছে খুব কমই। একটু বলে রাখি। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ছিলো রাজা-জমিদারদের চিকিৎসা। এ উপমহাদেশে তখন রাজ দরবারে এ পদ্ধতিতেই চিকিৎসা দিতেন। পেতেন রাজসিক সুবিধা। ব্রিটিশদের দাপটে আসে অ্যালোপ্যাথি, পৃষ্টপোষকতা না থাকায় জৌলুস হারাতে থাকে এ চিকিৎসা ব্যবস্থা। রাস্তায় হকার হিসেবে টিকে থাকার চেষ্টা করে অনেকে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-গবেষণা না পেয়ে হয়ে একটা বড় অংশ যৌন চিকিৎসা পদ্ধতি করে ফেলে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থাটাকে। অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার ভাইদের বলি, ভাই চলুন রাস্তাঘাটের কথিত ডাক্তারদের অপচিকিৎসা নিয়ে কথা বলি। এলএমএফ, পল্লী চিকিৎসক, পাহাড়ি কবিরাজ, বনাজি বিশেষজ্ঞ এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। ফার্মেসিম্যান, পল্লী চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক দিচ্ছে। মানহীন ক্লিনিক মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে মানুষদের। চলুন এসব নিয়ে সচেতনতা তৈরি, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে যোগপদ আন্দোলন করি। আপনার সংখ্যায় অনেক। ৯শ গ্র্যাজুয়েটকে ঘাটিয়ে কি লাভ আপনাদের। তারা ডাক্তার লিখলেই কি কবিরাজ হাকিম লিখলেই কি। আপনার লাভ-ক্ষতি এখানে দেখছি না। এটা দেখার জন্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় আছে। গ্রামে-গঞ্জে কত মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেনা। অপচিকিৎসায় ধুকছে। মানহীন, নকল ওষুধ। বিদেশী অনুমোদনহীন ওষুধ, স্বাস্থ্যখাতে পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে অনেক বিষয় আছে। সেসব বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথের গ্র্যাজুয়েডরা থাকবে। ভাই এ ভাইয়ে ঝগড়া আর কত। আমরা না হয় আপনাদের ছোট, সীমাবদ্ধতা অনেক। তাই বলে সম্ভাবনা নষ্ট করবেন কেন? আপনাদের যদি তবুও আপত্তি থাকে, আপনারা যদি মনেই করেন আমরা ডাক্তার লিখতে পারবো না। তবে, সরকারকে বা বিএমডিসিকে বলুন, আপনারা তো মেডিকেল লিখেন ইউনানী, আয়ুর্বেদিক কলেজের নামেও মেডিকেল আছে। হোমিও কলেজের নামের সাথেও মেডিকেল আছে। এগুলো বন্ধ করে দিতে। আপনারা অ্যাপ্রন পড়েন দেশের বহু ল্যাবে অ্যাপ্রন পড়ে তা বন্ধ করে দিতে বলেন। ওটাতো আপনারা পড়েন, আপনাদের সম্পত্তি। ডাক্তার আপনাদের বা বিএমডিসির সম্পত্তি নয়। সময় এসেছে ওই রুলসগুলো পরিবর্তনের। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সবাই মিলে। তাই, এসব কাসুন্দি না ঘেটে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এ চিকিৎসাকে উন্নত করতে আপনাদের পরামর্শ দিন। তাতে, মানুষের উপকার হবে। আর মানুষের উপকারই তো একজন ডাক্তারের সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া উচিত তাই নয় কি? “ডাক্তার” শব্দটি ইংরেজি DOCTOR শব্দের বাংলা রূপ। DOCTOR এসেছে ল্যাটিন DOCEO বা DOCTUS থেকে। যার অর্থ TEACHER। আদি অর্থে ডাক্তার মানে শিক্ষক। ত্রয়োদশ শতকে একাডেমিক টাইটেল হিসেবে DOCTOR উপাধি দেয় ইউরোপের ইউনোভার্সিটিগুলো। মধ্য যুগে ডক্টর মানে চিকিৎসক হয়েছে। আর বৈদ্য শব্দটি বিদ্ ধাতু থেকে এসেছে, যার অর্থ “জানা”। এই বিদ্ ধাতু থেকেই এসেছে “বিদ্যা” শব্দ। তা থেকে বদ্যি বা ডাক্তার। কবি শব্দের অর্থ কবিতা রচয়িতা নয়; অর্থ হচ্ছে সব বিষয়ে জ্ঞানী। এই সর্বজ্ঞদের মধ্যে যারা শ্রেষ্ঠ তাদেরকে মৈথালী ভাষায় কবিরাজ বা মহাপন্ডিত বলা হতো। সে সময় বৌদ্ধরা আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে পান্ডিত্য অর্জন করে পান্ডিত্য সূচক ‘কবিরাজ’ উপাধী গ্রহণ করতেন। হাকীম শব্দটি আরবী ‘হিকমত’ শব্দ হতে উদ্ভুত। যার অর্থ বিজ্ঞানী বা কুশলী। বিশ্বখ্যাত বিজ্ঞানী ইবনে সীনা, আল রাজীসহ অনেক বিজ্ঞানীকে আরবী হাকীম শব্দ দিয়ে সম্বোধন করা হতো। আর জনসাধারণের জন্য তারা চিকিৎসা বিজ্ঞানী হিসেবে বেশি পরিচিত অর্জন করেছিলেন। তাই পরবর্তী চিকিৎসকদেরকেও হাকীম শব্দ দিয়ে সম্বোধন করা হতো। এ মনীষীগণ শুধুমাত্র চিকিৎসা বিজ্ঞানী ছিলেন না বরং একাধারে বেশ কয়েকটি বিষয়ের বিজ্ঞানী ছিলেন। যার কারণে তাদেরকে হাকীমুত তিব্ব সম্বোধন না করে ব্যাপক অর্থবোধক শব্দ হাকীম দিয়ে সম্বোধন করা হয়েছিল। সাধারণ কোন জ্ঞানী ব্যক্তিকে যেমনি বিজ্ঞানী বলা যায় না, তেমনি কোন সাধারণ চিকিৎসককেও চিকিৎসা বিজ্ঞানী বলা যায় না। বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিল (বিএমডিসি) ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। মেডিকেল এবং ডেন্টাল পড়াশোনার পর বাংলাদেশে এ সেবা দেয়ার ব্যাপারে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তরদের অনুমোদন দেয় বিএমডিসি। সংস্থাটি বাংলাদেশে মেডিকেল এবং ডেন্টাল শিক্ষার ব্যাপারেও নীতিমালা প্রণয়ন করে। এ আইনটি বেশ কয়েকবার সংশোধন করা হয়। এবার আসা যাক আমার শিরোনামের প্রসঙ্গে। ডাক্তার শব্দটি বিএমডিসির কোন নিজস্ব সম্পত্তি নয়। যে রুলসের মাধ্যমে এটা করা হচ্ছে তা সংশোধন এখন সময়ের দাবি। দেখুন যে ইন্ডিয়া আয়ুর্বেদের তীর্থস্থান সেখানে ডাক্তার লিখলে তো কেউ আপত্তি করে না? পার্শ্ববর্তী কোন দেশেই এ নিয়ে আপত্তি নাই। সে দেশগুলোতেও কিন্তু, অ্যালোপ্যাথিও অনেক এগিয়েছে। যে দেবি শেঠিকে আপনারা এতো চিনেন তার চোখে কি ইন্ডিয়ায় আয়ুর্বেদিক ডাক্তার চোখে পড়েনা? তারা এ নিয়ে কোন আপত্তি করেছে এমন খবর কারো কাছে আছে? বাংলাদেশের একমাত্র স্নাতক ডিগ্রীর ইউনানী এবং আয়ুর্বেদিক মেডিকেল কলেজ ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠা হয়। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আওতাধীন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসী অনুষদের অধিভুক্ত ব্যাচেলর অব ইউনানি মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিইউএমএস) এবং ব্যাচেলর অব আয়ুর্বেদিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (বিএএমএস)। এমবিবিএস এরমতই বিজ্ঞান বিভাগ থেকে এসএসসি ও এইচএসসিতে নির্দিষ্ট পয়েন্ট হলেই ভর্তির আবেদন করা যায় এখানে। এমবিবিএস কারিকুলামের অনুরুপ কোর্সটির পাঁচ বছর প্রাতিষ্ঠানিক ও এক বছর ইন্টার্নশিপ শেষে পাওয়া যায় ডিগ্রি। প্রতিবছর ইউনানি বিষয়ে ২৫ জন ও আয়ুর্বেদিক বিষয়ে ২৫ জন ভর্তির সুযোগ পান। ৯৬ এর পর বের হয় প্রথম ব্যাচের চিকিৎসক। দেখুন ২৩ বছরে গ্র্যাজুয়েড চিকিৎসক মাত্র ৯শ। এ দেশে আন্দোলন ছাড়া কিছু হয়না। তাই, সংখ্যায় কম হওয়ায় দাবি আদায় হয়েছে খুব কমই। একটু বলে রাখি। ইউনানী ও আয়ুর্বেদিক ছিলো রাজা-জমিদারদের চিকিৎসা। এ উপমহাদেশে তখন রাজ দরবারে এ পদ্ধতিতেই চিকিৎসা দিতেন। পেতেন রাজসিক সুবিধা। ব্রিটিশদের দাপটে আসে অ্যালোপ্যাথি, পৃষ্টপোষকতা না থাকায় জৌলুস হারাতে থাকে এ চিকিৎসা ব্যবস্থা। রাস্তায় হকার হিসেবে টিকে থাকার চেষ্টা করে অনেকে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা-গবেষণা না পেয়ে হয়ে একটা বড় অংশ যৌন চিকিৎসা পদ্ধতি করে ফেলে ঐতিহ্যবাহী চিকিৎসা ব্যবস্থাটাকে। অ্যালোপ্যাথিক ডাক্তার ভাইদের বলি, ভাই চলুন রাস্তাঘাটের কথিত ডাক্তারদের অপচিকিৎসা নিয়ে কথা বলি। এলএমএফ, পল্লী চিকিৎসক, পাহাড়ি কবিরাজ, বনাজি বিশেষজ্ঞ এদের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি। ফার্মেসিম্যান, পল্লী চিকিৎসক এন্টিবায়োটিক দিচ্ছে। মানহীন ক্লিনিক মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে মানুষদের। চলুন এসব নিয়ে সচেতনতা তৈরি, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাকে ব্যবস্থা নিতে বাধ্য করতে যোগপদ আন্দোলন করি। আপনার সংখ্যায় অনেক। ৯শ গ্র্যাজুয়েটকে ঘাটিয়ে কি লাভ আপনাদের। তারা ডাক্তার লিখলেই কি কবিরাজ হাকিম লিখলেই কি। আপনার লাভ-ক্ষতি এখানে দেখছি না। এটা দেখার জন্য সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয় আছে। গ্রামে-গঞ্জে কত মানুষ চিকিৎসা পাচ্ছেনা। অপচিকিৎসায় ধুকছে। মানহীন, নকল ওষুধ। বিদেশী অনুমোদনহীন ওষুধ, স্বাস্থ্যখাতে পাওয়া-না পাওয়া নিয়ে অনেক বিষয় আছে। সেসব বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে ইউনানী, আয়ুর্বেদিক ও হোমিওপ্যাথের গ্র্যাজুয়েডরা থাকবে। ভাই এ ভাইয়ে ঝগড়া আর কত। আমরা না হয় আপনাদের ছোট, সীমাবদ্ধতা অনেক। তাই বলে সম্ভাবনা নষ্ট করবেন কেন? আপনাদের যদি তবুও আপত্তি থাকে, আপনারা যদি মনেই করেন আমরা ডাক্তার লিখতে পারবো না। তবে, সরকারকে বা বিএমডিসিকে বলুন, আপনারা তো মেডিকেল লিখেন ইউনানী, আয়ুর্বেদিক কলেজের নামেও মেডিকেল আছে। হোমিও কলেজের নামের সাথেও মেডিকেল আছে। এগুলো বন্ধ করে দিতে। আপনারা অ্যাপ্রন পড়েন দেশের বহু ল্যাবে অ্যাপ্রন পড়ে তা বন্ধ করে দিতে বলেন। ওটাতো আপনারা পড়েন, আপনাদের সম্পত্তি। ডাক্তার আপনাদের বা বিএমডিসির সম্পত্তি নয়। সময় এসেছে ওই রুলসগুলো পরিবর্তনের। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে সবাই মিলে। তাই, এসব কাসুন্দি না ঘেটে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া মুক্ত এ চিকিৎসাকে উন্নত করতে আপনাদের পরামর্শ দিন। তাতে, মানুষের উপকার হবে। আর মানুষের উপকারই তো একজন ডাক্তারের সর্বাগ্রে গুরুত্ব দেওয়া উচিত তাই নয় কি?
মো. শিমুল পারভেজ মোবাইল -০১৭৮২৪৫৬৭৮৪