আজ ২১ আগস্ট ২০২০। আজ থেকে ষোল বছর আগের এই দিনে ঘটেছিল এক ভয়াবহ জঙ্গি হামলা। যা ইতিহাসের এক বর্বরোচিত কালো অধ্যায়। ২০০৪ সালের সারাদেশে জঙ্গিদের বোমা হামলা এবং গোপালগঞ্জে পুলিশি নির্যাতনের প্রতিবাদে ২১ আগস্ট বিকেলে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ ঢাকার বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ের আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয়ের সামনে এক সমাবেশের আয়োজন করে। আর সেই সমাবেশে চালানো হয় ভয়াবহ গ্রেনেড হামলা। আজ ২১ আগস্ট শুক্রবার টুঙ্গিপাড়া আওয়ামীলীগের দলীয় কার্যালয়ে গ্রেনেড হামলা দিবস উপলক্ষে এবং সেই দিন বরণ কৃত সকল শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।
এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন গোপালগঞ্জ জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. এমদাদুল হক বিশ্বাস, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল বাশার খায়ের, টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল শেখ, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. সোলায়মান বিশ্বাস, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ সাইফুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক ফোরকান বিশ্বাস, সাবেক পৌর মেয়র ইলিয়াস হোসেন সরদার, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি নুরুল ইসলাম সহ আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেনেড হামলা, এটি ইতিহাসের বর্বরোচিত ও নৃশংস হামলা। যা আগে কোনোদিন কেউ প্রত্যক্ষ করেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত নৃশংস সহিংসতার যেসব ঘটনা ঘটেছে, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলার ঘটনা তার একটি। তখন শেখ হাসিনাকে মানব ঢাল বানিয়ে বাঁচিয়েছিলেন উপস্থিত নেতাকর্মীরা। আজও তাদের স্মৃতিতে ভাসছে সেই ভয়াল কালো দিনের কথা। মাত্র দেড় মিনিটের মধ্যে বিস্ফোরিত হয় ১১টি শক্তিশালী গ্রেনেড। এতে ঘটনাস্থলেই ১২ জন এবং পরে হাসপাতালে আরও ১২ জন সহ মোট ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন ২৫০ জন। অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।