করোনা শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বের জীবনধারা বিপর্যস্ত করে দিয়েছে। রেহাই নেই সর্বস্তরের শিক্ষারও। লকডাউন বা গৃহবন্দিদশার ১৪৬ দিনে দেশের শিক্ষার পরিস্থিতি একেবারে ওলটপালট হয়ে গিয়েছে। সব মিলিয়ে এই লকডাউন শিক্ষায় লেগেছে ‘বিশাল ধাক্কা’। আর সেই ধাক্কা থেকে উঠতে এবার টুঙ্গিপাড়ায় নেওয়া হয়েছে ব্যতিক্রম উদ্যোগ অনলাইন ক্লাস ব্যবস্থা। উদ্যোগতারা মনে করছেন গৃহবন্দি থাকা এ সময়ে সকল শিক্ষার্থী ঘরে বসে পাবে শিক্ষার আলো। যার নেপথ্যে রয়েছেন টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহ জালাল। এই উদ্যোগ গৃহবন্দিদশার এ সময়ে জাতির জনকের পূণ্য ভূমিকে শিক্ষার শেকড় থেকে শিখরে পৌছে দিতে ব্যপক ভুমিকা পালন করবে। রক্তস্নাত বাংলাদেশ কে শোকের শক্তিতে শাণিত করতে এ উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে। তার এ মহান উদ্যোগ এর আদ্যোপান্ত জানতে দৈনিক শতবর্ষ সেখানে হাজির হয়।
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ শাহ জালাল দৈনিক শতবর্ষ কে দেওয়া এক বিবৃতিতে অনলাইন ক্লাসের নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন,দীর্ঘ বন্ধের কারণে অনেক স্কুল অনলাইনে ক্লাস নিচ্ছে। কিন্তু অনেক ছাত্রছাত্রী এই ধরনের ক্লাসে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করছে না। অথচ অনলাইন ক্লাস ছাত্রছাত্রীদের জন্য সুবিধাজনক। শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীর সশরীরে উপস্থিতি ছাড়া অ্যাকাডেমিক ক্লাসের সঙ্গে অনলাইন ক্লাসের তেমন কোনো পার্থক্য নেই। বরং অ্যাকাডেমিক ক্লাসের চেয়ে অনলাইন ক্লাসে সুবিধা বেশি। অ্যাকাডেমিক ক্লাসে একটি নির্দিষ্ট সময়ে ক্লাসে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকের লেকচারগুলো নোট করতে হয়। এটা পরিশ্রমসাধ্য ক্লাসব্যবস্থা। অন্যদিকে অনলাইন ক্লাসে সশরীরে উপস্থিত হওয়ার বাধ্যবাধকতা নেই এবং ক্লাসের লেকচার নোট করারও ঝামেলা নেই। বিশ্বের যেকোনো স্থান থেকে অনলাইন ক্লাসে অংশ নেওয়া যায়। ক্লাস লেকচার এক মিনিটেই কপি করে যার যার কম্পিউটার, মোবাইল, প্রোফাইলে সেভ করে রাখা যায়, তাই নোট করার কোনো ঝামেলা নেই।
অ্যাকাডেমিক ক্লাসে একদিন উপস্থিত হতে না পারলে ওইদিনের লেকচার আবার বোঝার সুযোগ নেই। কিন্তু অনলাইন ক্লাসের লেকচার ছাত্রছাত্রীর নির্দিষ্ট পেজে সুরক্ষিত থাকে। তাই অনলাইন ক্লাসের সময়ে অনলাইনে না থাকলেও পরে পড়া, শিক্ষক এবং অন্য ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নোত্তরের কমেন্টগুলো দেখে ওইদিনের বিষয়টা সহজেই বোঝা যায়। একাডেমিক ক্লাসে সশরীরে ছাত্র-শিক্ষক উপস্থিত হয়ে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। অনলাইন ক্লাসেও নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে অনলাইনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীদের প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে পাঠদান করা হয়। অ্যাকাডেমিক ক্লাসে ব্ল্যাকবোর্ডে বোঝানো হয়।
অনলাইন ক্লাসে ইমেইজ লাইব্রেরি দিয়ে অথবা চিত্র আর্ট করে গ্রাফিকসের মাধ্যমে বোঝানো হয়। তা ছাড়া অনলাইন ক্লাসে নির্ধারিত পাঠের টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করেও বোঝানো যায়। অতএব অ্যাকাডেমিক বাস্তব ক্লাসের চেয়ে অনলাইন ক্লাসই বেশি সুবিধা। এছাড়াও তিনি অভিবাভকদের সচেতন হওয়ার জন্য বলেন। কারন অভিবাভক যদি সচেতন হয় ছাত্রছাত্রী ও সচেতন হবে। এসকল বিষয়ে বিবেচনা করে এ অনলাইন ক্লাসের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিচে লিংক গুলো অনুসরণ করলে এ ব্যবস্থার আওতায় আসা যাবে। (১) messenger: উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা পরিবার, টুঙ্গিপাড়া।
(২) online class: অনলাইন ক্লাস মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস, টুঙ্গিপাড়া।
(৩) facebook: useo office tungipara
(৪) e-mail: shahajalal7@gmail.com
(৫) yahoo: useo_tungipara@yahoo.com
(৬) মুঠোফোন: 01716791179