চিতলমারীতে আশ্রয়নের ঘর দেওয়ার কথা বলে টাকা চাওয়ার অভিযোগ, ছাত্রলীগ নেতার দাবী তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার

বাগেরহাটের চিতলমারীতে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর দেওয়ার কথা বলে অর্থ দাবীর অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার (২৫ ফেব্রয়ারী) দুপুরে বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ঘোলা গ্রামের মোতালেব শেখের স্ত্রী আম্বিয়া বেগম বাদী হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখছেন বলে জানিয়েছেন। তবে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা রাজিব শিকদার ষড়যন্ত্রের শিকার বলে দাবী করেছেন।
অভিযোগপত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নে প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর হতদরিদ্র-ভূমিহীনদের দেওয়ার বিষয়ে যাচাই-বাছাই চলছে। যাচাই-বাছাইকে পুঁজি করে ঘোলা গ্রামের আব্দুর রউফ শিকদারের ছেলে ও বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রাজীব শিকদার ঘর দেওয়ার কথা বলে একই গ্রামের আম্বিয়া বেগমের কাছে ২০ হাজার টাকা দাবী করেন। আম্বিয়া বেগম টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাঁকে ঘর দেওয়া হবেনা বলে মোবাইলে ফোনে জানানো হয়। এ ঘটনায় তিনি বাদী হয়ে রাজিব শিকদারের বিরুদ্ধে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

শুক্রবার (২৫ ফেব্রæয়ারী) বিকেলে মুঠোফোনে আম্বিয়া বেগম বলেন, রাজিবের টাকা চাওয়ার বিষয়টি আমি এক সাংবাদিককে জানাই। তিনিই আমাকে থানায় অভিযোগ করতে বলেছেন।
টাকা চাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে রাজিব শিকদার বলেন, ছাত্রলীগের কমিটি নিয়ে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ও সাংবাদিক নেতার সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। তাঁর লোক কমিটিতে আসতে পারেনি। তাই আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে ফাঁসানো হচ্ছে। আমি ষড়যন্ত্রের শিকার।
উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রবিন হীরা বলেন, অভিযুক্ত রাজিব শিকদার বড়বাড়িয়া ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। অভিযোগ কারো নামে হতেই পারে। টাকা চাওয়ার বিষয়টি প্রমানিত হলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ সরদার বলেন, বিষয়টি ইউএনও স্যার আমাকে জানিয়েছেন। আমরা খোঁজ-খবর নিয়েছি। ঘটনার রং লাগিয়ে তিলকে তাল করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে চিতলমারী থানার পরিদর্শক (ওসি) এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আশ্রয়ন প্রকল্পের ঘর পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অর্থ চাওয়ার বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে দেখা দেখছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।
তবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাইয়েদা ফয়জুন্নেচ্ছা সাংবাদিকদের বলেন, এ বিষয়ে বড়বাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাসুদ সরদারকে বলেছি। আগামীকাল সরজমিনে গিয়ে যাচাই করে প্রয়োজনী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। #



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked as *